চরফ্যাসনের ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিপাকে ধর্ষিতার পরিবার

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১

দুলারহাট প্রতিনিধি।

ভোলার চরফ্যাসনের দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ধর্ষণের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী সন্তান প্রসবের পর সন্তানের পিতৃপরিচয়ে ও ধর্ষনের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করে বিপাকে পরেছেন ধর্ষিতার পরিবার।

ধর্ষিতার পরিবারকে জব্দ করতে ধর্ষক সাইমুনের পরিবার মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।বিয়ের প্রলোভনে প্রতিবেশী সাইমুনের সাথে অবৈধ মেলামেশায় চরযমুনা গ্রামের নিজ বাড়িতে গত ৭ জানুয়ারি কন্যা সন্তানের জম্ম দেন ধর্ষণের শিকার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাসে ৬ মাস সময় ক্ষেপন করলে ৭ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী সন্তান প্রসব করেন।

কিশোরী সন্তান প্রসবের পর বিয়ের অবস্থান থেকে ধর্ষক পরিবার সটকে পরায় গত সোমবার ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে ভোলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক সাইমুনসহ তিন সহযোগীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ভিক্টিম পরিবার মামলা দায়েরের পর ধর্ষিতার পরিবারকে জব্দ করতে গত ১৫ জানুয়ারী ধর্ষক সাইমুনকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধর ও ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে ভিক্টিম পরিবারের ৫ জনকে আসামী করে গত বুধবার চরফ্যাসন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে ধর্ষক সাইমুনের বাবা মোস্তফা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভিক্টিম পরিবারের সদস্যদের আসামী করে মামলা দায়ের করে ক্ষ্যান্ত হননি ধর্ষক সাইমুনের পরিবার। মামলা তুলে নিতে ধর্ষক পরিবার ও মাতাব্বরদের অব্যহত হুমকি-ধামকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভিক্টিম কিশোরীর পরিবার।

ভিক্টিমের বাবা অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী যুবক সাইমুনের সাথে প্রেম প্রনয়ে অবৈধ মেলামেশায় তার ১৪ বছরের কিশোরী কন্য অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় মাতাব্বরদের সহযোগিতায় ধর্ষকের পরিবারের সদস্যরা বিয়ে প্রহশনে ঘটনাটি ধামাচাপা দেন। এবং ধর্ষক সাইমুনের সাথে বিয়ের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপন করেন তার পরিবার ও মাতাব্বররা। বিয়ের আয়োজনের অজুহাতে কৃষক কন্যার পরিবারের কাছ থেকে বিয়ে ছাড়াই ১লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন ধর্ষক সাইমুনের বাবা মোস্তফা ও স্থানীয় মাতাব্বররা। তার পরে শুরু হয় সময় ক্ষেপন। এভাবেই কেটে যায় ৬ মাস। বিয়ের আশ্বাসে ৬ মাস অতিবাহিত হলে গত ৭ জানুয়ারি ওই কিশোরী কন্যার কোলজুড়ে আসে নতুন কন্যা সন্তান। মায়ের কোলজুড়ে বেড়ে উঠলেও শিশুটির ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরীর সন্তানের প্রসব করলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি থেকে সটকে পড়েন স্থানীয় মাতাব্বরসহ ধর্ষক সাইমুনের পরিবার। এঘটনার গত সোমবার ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে ভোলা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক সাইমুনসহ তিন সহযোগীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কিশোরী সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবীতে ধর্ষক সাইমুন সহ তিন জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে ধর্ষক পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে ভিক্টিম পরিবারকে জব্দ করতে ধর্ষক সাইমুনের বাবা ভিক্টিমের বাবাসহ পরিবারের ৫ জনকে আসামী করে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ভিক্টিম পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ক্ষ্যান্ত হননি ধর্ষক সাইমুনের পরিবার। ভিক্টিমের বাবার দায়ের করা মামলা তুলে নিতে ধর্ষক পরিবার ও মাতাব্বরদের অব্যহত হুমকি-ধামকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভিক্টিমসহ তার পরিবার। ধর্ষক সাইমুন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য জানাযায়নি ।

তবে তার বড় ভাই নাইম জানান, ছোট ভাইয়ের ওপর অযতা ধর্ষনের অভিযোগ তুলে ছিলো। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করেন। পরে আর তার সমযোতা হয়নি। আমার ভাইকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় আমার বাবা একটি মামলা দায়ের করেন।

দুলারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরাদ হোসেন জানান, আদালত থেকে উভয়পক্ষের মামলার কোন কাগজ পত্র পাইনি। আদালতের কাগজ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’