দক্ষিণ রায়চাঁদ আবাসন প্রকল্পে সরকারি মালামাল

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২১

এ.এইচ. রিপন ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ

ভোলা লালমোহন ২০০৭ সালে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী কর্তৃক স্থাপিত দক্ষিণ রায়চাঁদ আবাসন প্রকল্প এখানে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে ৩০ টি পরিবার। এ পরিবার গুলোকে জিম্মি করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী রমাগঞ্জ ইউপি মেম্বার বশির আহম্মাদের বেয়াই আনোয়ার হোসেন।
অভিযোগ রয়েছে দীঘ দিন ধরে কমিনিটি ক্লিনিক এর জায়গা দখল করে রাইস মিলের ব্যবসা পরিচালনা করছেন আনোয়ার হোসেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল ইউপি মেম্বার বশিরের বেয়াই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, দুইটি পাবলিক টয়লেট ভেঙ্গে ইট, রড বিক্রয় করে দেন এবং কিছু ইট আনোযার হোসনের রাইস মিলে পাওয়া যায়।
টয়েলেট ভেঙ্গে ফেলার ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন কে জিঙ্গাসা করলে আনোয়ার হোসেন জানান,আমি টয়েলেট ভেঙ্গার ব্যাপারে কেউকে বলতে হবে কেন? আমার রাইস মিলের সমস্যা হয় বিদায় আমি ভেঙ্গে ফেলেছি।

এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার বশিরের কাছে জানতে চাইলে সে জানায় আমার বেয়াই এর জায়গায় সে টয়লেট ভেঙ্গে তার জায়গা দখল করছে এ ব্যাপারে আমার করার কিছু নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এখানেই সরকারি খাস জায়গা আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু ইউপি মেম্বার বশিরের জোর-জুলুমের কারণে আজ দিশেহারা ত্রিশটি পরিবার এর সঠিক বিচারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী যাতে করে খুব দ্রুত সময় দুইটি টয়লেট নির্মাণ করা হয় আবাসন বাসীর জন্য।
আবাসন বাসিন্দারা জানান, কিছুদিন আগে রমাগঞ্জ ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এখানে এসে তদন্ত করে গিয়েছেন কিন্তু তার প্রতিক্রিয়া এখনো পায়নি আবাসন বাসিরা। তাই আমরা অতি দ্রুত এর বিচারের দাবি করছি এবং অবিলম্বে আনোয়ার হোসেনের রাইস মিল এখান থেকে অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি
আমরা আবাসন বাসীর দাবি দীর্ঘদিনে তারা এ দুইটি টয়লেট ব্যবহার করে আসছেন কিন্তু বর্তমানে প্রভাবশালী আনোয়ার হোসেন এই দুইটি টয়লেট ভেঙে নিয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে আবাসন বাসীদের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করার কথা রয়েছে কিন্তু সেখানেও জোরপূর্বক দখল করে নিলেন আনোযার হোসেন ।
এ ব্যাপারে রমাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি কখনো শুনি নাই, সেখানে দখল করে নিয়েছে আবাসনের জায়গা আনোয়ার হোসেন নামে কেউ আমি এই প্রথম শুনলাম।

লালমোহন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামীম এর কাছে আবাসন প্রকল্প ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি জানান খুব দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।