স্কুল শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে ভুতের ন্যায় চেপে বসেছে ফ্রী-ফায়ার, পাবজি ও ব্লু-হোয়েল নামক ভিডিও গেমস।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২১

 

মোঃ পারভেজ

ছেলেটিকে একা একা কথা বলতে দেখে ভাববেন না ছেলেটি মানসিক রোগী আসলে ছেলেটি ফ্রী- ফায়ার পাবজি ব্লু হোয়েল নামক গেমস খেলছে।
সে এক নয় ভোলার শহর থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের আনাচে-কানাচে এমন হাজারো স্কুল শিক্ষার্থী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এই ফ্রী ফায়ার পাবজি ব্লু হোয়েল নামক ভিডিও গেমসে। শুধু তাই নয় এই ভিডিও গেমসের ভয়ঙ্কর বিষয় হলো এই গেমস এর ভিতরে থাকা বিভিন্ন ক্যারেক্টার কিনতে হয় টাকা দিয়ে
টাকার পরিমাণ নেহাত কম নয়, মাসে ৪শ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত একেক জনের ব্যয় করতে হয় এই গেমস এর পিছনে, আর এই টাকা অভিভাবকদের বিভিন্ন বাহানা দিয়ে আনতে হয়
অভিভাবকরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদেরকে জিম্মি করে টাকা আদায় করা হয়। দীর্ঘ সময় মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে মস্তিষ্ক বিকৃতি হওয়ার উপক্রম হচ্ছে যে কারণে গেমস খেলছে তাদের আচার-আচরণ অনেকটা আক্রমণাত্মক লক্ষ্য করা যায়।
আর যে ব্যক্তি গেমস খেলতে বারণ করে তাদেরকে এরা শত্রু মনে করে।
এই ফ্রী ফায়ার পাবজি ব্লু হোয়েল গেমস শুধু ভোলার আনাচে-কানাচে নয় সারা দেশে হাজার হাজার শিক্ষার্থী আসক্ত হয়ে পড়েছে।
এই গেম এর মূল অস্ত্র ট্যাংক একেফটিসেভেন সহ নানা ধরনের অস্ত্র যার প্রতিটি ক্যারেক্টার কিনতে যে টাকা লাগে তা বিকাশ করে পাঠাতে হয় স্থানীয় বিকাশ এজেন্টের কাছে শুধু তাই নয় টাকার সাথে বিয়ে দিতে হয় ওই এজেন্টের কাছে নিজের পার্সোনাল ফেসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়ার কারণে খোওয়াতে হচ্ছে ফেসবুক আইডি আর এই কারণে ফ্রী ফায়ার পাবজি ব্লু হোয়েল নামক গেমস যারা খেলেন তাদের একজনের ৫ থেকে ১০টি ভুয়া ফেসবুক আইডি রয়েছে যা সমাজে অপরাধ ও প্রবণতা বাড়ছে ফলে তৈরি হচ্ছে কিশোর গ্যাং।
দেশে মহামারীর করোনা কালীন সময়ে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারনে লেখা পড়ার চাপ না থাকায় সময় কাটাতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে গিয়ে এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ফ্রী-ফায়ার পাবজি ব্লু-হোয়েল এর মত অনলাইন ভিডিও গেমসে আসক্তি হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থীরা
ফলে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে যুব সমাজ। অনলাইন ভিডিও গেমস মাদকাসক্তির চেয়েও ভয়ঙ্কর।
সর্বনাশা ইয়াবার চাইতেও কোন অংশে কম নয় অনলাইনে এই ভিডিও গেমস।
বর্তমানে যুব সমাজ থেকে সুরু করে কিশোর কিশোরী নাওয়া খাওয়া ভুলে রাস্তার পাশে, বাড়ির ছাদে গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে এমনকি রাস্তায় চলার পথেও এন্ড্রয়েড ফোনে এই মরণ নেশা নামক, এই ফ্রী-ফায়ার পাবজি ও ব্লু-হোয়েল ভিডিও গেমস চোখে পড়ার মতো, প্রযুক্তির দুনিয়ায় এখন স্বীকৃতির নাম ফ্রী-ফায়ার পাবজি ব্লু -হোয়েল, যাকে মানসিক সমস্যা বলে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সাইবার দুনিয়ার ফাঁদে পড়ে মরণনেশা নামক এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমস এর প্রতি আকর্ষিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা ফলে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ মন্তব্য করছেন অভিজ্ঞ মহল।
সারাবিশ্বে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এন্ড্রয়েড মোবাইল অনলাইন ভিডিও গেমস ফ্রী-ফায়ার পাবজি ও ব্ল-হোয়েলে মত মারাত্মক ভিডিও গেমস ধ্বংস হলেও পর্যাক্রমে চলে আসছে নতুন নতুন আরও ভিডিও গেমস।
এদের মধ্যে ফ্রী-ফায়ার পাবজি ব্লু-হোয়েল গেমস অন্যতম ইতিমধ্যে ফ্রী-ফায়ার পাবজি ব্লু-হোয়েল গেমস এর প্রভাব যুব সমাজের মাথায় ভুতের ন্যায় ভর করে দাব্রিয়ে
চলেছে এক দেশ থেকে অন্য দেশে।
এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে অনলাইনে এই ভিডিও গেমস নামক মরণ নেশা থেকে মুক্তি চায় অভিভাবকরা। অভিভাবকরা জানায় দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তাদের সন্তানরা তাদের অবাধ্য হয়ে গেছে তাদের নাগালের বাইরে চলে গেছে ফলে লাগাম টানতে পারছে না অভিভাবকরা।
সাইবার দুনিয়ায় নিত্যনতুন অনলাইন মরণনেশা ভিডিও গেমস এর হাত থেকে মুক্তি চান অভিবাবকরা।