হাসিনা পালিয়ে গেছেে চোরের মত
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ভোলায় শহীদ পরিবারের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর অনুদান বিতরণ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শতশত ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করে দেশ ছেড়ে চোরের মত পালিয়ে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ চত্তরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে কেয়ার টেকার সরকার পদ্ধতি বাতিল করে সংবিধানকে কলঙ্কিত করেছে। তারা ১৪, ১৮ ও ২৪ সালে একতরফা নির্বাচন করে দেশটাকে ফ্যাসিবাদী রাস্ট্রে পরিনত করেছে। দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা হয়ছে। তারা গুম, খুন ও নির্যাতন চালিয়ে রাজনৈতিক অধিকারকে গলাটিপে হত্যা করে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিল। শেখ হাসিনার তৈরি ভয়ংকর আয়না ঘর সম্পর্কে দেশে-বিদেশে কারোর কাছেই তথ্য ছিলনা। এ ফেরাউন-নমরুদরা আয়না ঘরে আটকিয়ে রেখে, না খাইয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। শেখ হাসিনা কোটা আন্দোলন কারীদের রাজাকারের সন্তান বলে উপহাস করেছেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এখন আবার ভারতে বসে ৫ আগস্টে ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র করছে। শহীদ আবু সাঈদের বাবা-মা বলেছে, আবু সাইদ তো চাকরি চেয়েছিল, কিন্তু হত্যা করা হলো কেনো ? পানি বিতরনকারী মুগ্ধ ছেলেটাকেও গুলি করে মেরে ফেলা হলো। আল্লাহ তাদের পাপকে সহ্য করতে পারেনি। তাই দেশ আজ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে।
ভোলা জেলা জামায়াতের আমির মাষ্টার মোঃ জাকির হোসাইন এর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতে ইসলামীর শুরা ও ভোলা পৌরসভার কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ আতাউর রহমান, জামায়াতে ইসলামী ভোলা পৌর শাখার সেক্রেটারী মোঃ রুহুল আমিন, ভোলা সদর উপজেলা সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল গাফ্ফার, ভোলা সদর উপজেলা আমির মাওঃ কামাল হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ মোঃ জাকির হোসেন, জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আমির হোসেন, জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী অধ্যাপক জিয়াউল মোর্শেদ, জেলা সেক্রেটারী মোঃ হারুনুর রশিদ, ভোলা জেলা নায়েবে আমির মাওঃ নজরুল ইসলামসহ জামায়াতে ইসলাম সকল শহীদদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আন্দোলনে নিহত ভোলায় ৪৬টি লাশ এসেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে। পরে প্রত্যেক নিহত পরিবারের সদস্যদের হাতো নগদ ২ লক্ষ টাকা করে দেয়া হয়। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদের চিকিৎসার জন্য আরও বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভোলা সদর উপজেলার সকল ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।