‘শান্তি-সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক’

ভোলার কথা
নিউজ ডেস্ক সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২৪

নিউজ ডেস্ক

শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২১ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধ অহিংসা, সমবেদনা ও মানুষে-মানুষে গভীর সম্প্রীতির বাণী প্রচার করে গেছেন। বুদ্ধের শিক্ষা করুণা ও দয়ার জীবন-যাপন করতে প্রেরণা যোগায়। এই ঝঞ্জা বিক্ষুদ্ধ পৃথিবীতে গৌতম বুদ্ধের শিক্ষায় শান্তনা ও আনন্দ পাওয়া যায়। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না, বরং শরণ নিতে হয় অহিংসার। শান্তি, সৌহার্দ্য, সম্প্রতি ও মানব প্রেম সকল ধর্মের মর্মবাণী। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বিশ্ব সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের বাণী এখনও প্রাসঙ্গিক।’

তিনি বলেন, ‘মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সকল মায়াবী বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সকল প্রতিকুলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে তিনি জগতের সকল প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের অমরবাণী প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তাঁর বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা জানি- গৌতম বুদ্ধ সমাজের ঐক্য-সংহতি প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন ধর্মাদর্শ প্রচার করেছিলেন। মানুষের নীতি, আদর্শ, ভালোবাসা এবং সকল স্তরের মানুষের কল্যাণের জন্য মঙ্গল সূত্রের বাণী প্রচার করেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধ আলোকিত সমাজ, যে সমাজে কোনো ধরনের হিংসা-প্রতিহিংসা থাকবে না, থাকবে না কোনো ধরনের সংঘাত-সহিংসতা।’

‘তিনি জীবনের সর্ববিধ ক্লেশ থেকে মুক্তির উপায় বের করেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সকল বাধা-বিপত্তির মধ্যেও আমাদের দীর্ঘ প্রত্যাশিত গণতন্ত্র, শান্তি ও নিরাপদ আশ্রয় ফিরে আসবেই। আসুন আমরা এই দিনে দল, মত, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্য ও আত্মীয়তাবোধ সৃষ্টি করি এবং নাগরিকদের স্বাধীনতা ও যথাযথ মর্যাদা রক্ষার ব্যবস্থা করি। সর্বোপরি ত্যাগে, উদারতায় ও মহত্ত্বতায় উন্নত সুখময় জীবন এবং সব ধরনের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতামুক্ত সমাজ ও বিশ্বজনীন শান্তি প্রতিষ্ঠা করি’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।