দৌলতখানে পৌরসভা নির্বাচনে জয়ের আশাবাদী আ.লীগ, নিষ্ক্রিয় বিএনপি
মোঃ ইসমাইল, বিশেষ প্রতিনিধি
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে দৌলতখান পৌরসভা নির্বাচন। তাই জনসংযোগ ও সভা সমাবেশের মাধ্যমে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের উন্নয়নের পরিকল্পনা তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এমনকি ভোটারদের কাছে গিয়ে কেউ মেলে ধরছেন অতীতের উন্নয়নের ডালা। প্রার্থীরা সুযোগ চাচ্ছেন নতুন করে সেবা করার। তবে ভোটাররা কারও কথাই শুনছেন না।
অতীতে যে সকল জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক বা সমাজকর্মী হিসেবে কারা এলাকার উন্নয়ন ও জন কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন; সেসব দিক বিবেচনা করে ভোট দিতে চান তারা। এছাড়া নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতসহ পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন হবে- এমন প্রার্থীকে বেছে নিতে চান সাধারণ ভোটাররা।
দৌলতখান পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৬০৬জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৭০৮জন এবং নারী ভোটার ৫ হাজার ৮৯৮ জন। এখানে মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের জাকির হোসেন তালুকদার ও বিএনপির আনোয়ার হোসেন কাকন। এ ছাড়া পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮জন, সংরিক্ষত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮জন ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন।
এ পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী আনোয়ার হোসের কাকনের অভিযোগ তারা প্রচার প্রচারণায় বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাদের কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
তবে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেন তালুকদার বলছেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপির আমলে তাদের নেতাকর্মীরা যে নির্যাতন–নিপীড়ন চালিয়েছে তার প্রতি উত্তর পাওয়ার আতঙ্ক থেকে তারা এসব কথা বলছে।
নির্বাচনে দুই প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। এদিকে, যেকোনো মূল্যে ভোটের পরিবেশ নির্বিঘ্ন রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আল উদ্দিন আল-মামুন। তিনি জানান, প্রতিটি কেন্দ্র পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখার জন্য দৌলতখান পৌরসভায় ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন বলে জানান তিনি।