শিবপুরে বিএনপির নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ভোলার কথা
স্টাফ রিপোর্টার সম্পাদক
প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৭, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা নুরুল ইসলাম (৩৫) এর উপর ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশ মনজুর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১৫ই অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত নুরুল ইসলাম ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম আজকের ভোলাকে জানান, দুপুরে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের চাউল বিতরণের সময় আমার পিছনে থেকে এনে একজন অসুস্থ(পুরুষ)ব্যাক্তিকে লাইনের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখলে পরিষদের চকিদার মজুর আমার গেঞ্জির কলার ধরে আমাকে পরিষদের ভিতরে নিয়ে ৬নং ওয়ার্ডের চকিদার মামুন ৮নং ওয়ার্ডের চকিদার মামুন, ১নং ওয়ার্ডের চকিদার জাহাঙ্গীর এবং সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার শিল্পী বেগমসহ অন্যান্য চকিদাররা মিলে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে এর পর আমি চিল্লা চিল্লি করলে পাশের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলার পর আমি অজ্ঞান হয়ে পরে যাই তারপর আমাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে আমি জানিনা।

এ ব্যাপারে চকিদার মজুরকে একাধিকবার ফোন কলেও পাওয়া যায়নি, চকিদার জাহাঙ্গীর জানান ঘটনার সময় আমি চায়ের দোকানে ছিলাম, মুঠোফোনে কথা বলার সময় চকিদার মামুন বিষয়টিকে এড়িয়ে যান এবং ফোন কেটে দেন।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক ইউপি সদস্য মো. হাদিস জানান, চকিদার মজুর আলম ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম কে আমার সামনে লাইন থেকে পরিষদের ভিতরে নিয়ে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারে এরপর আমরা উভয়কে ছাড়িয়ে দেই। এছাড়াও পরিষদের বাহিরে লাইনে থাকা অবস্থায় চকিদার মামুন, চকিদার রিপন এবং চকিদার জাহাঙ্গীর তাকে মারধর করে।

হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে গ্রাম পুলিশ মনজুর এর বিচারের দাবিতে রতনপুর বাজার থেকে শান্তির হাট বাজার পর্যন্ত একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি একেএম নুর হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের চাউল বিতরণকালে লাইনে দাঁড়ানোর মতো নগন্য বিষয় নিয়ে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম এবং গ্রাম পুলিশ মনজুরের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর তাকে লাইন থেকে ভিতরে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে তার উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এরকম হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্বৈরাচার সরকারের আমলে চকিদার মজুর আমাদের ইউনিয়ন বিএনপির বহু নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে।

আমরা এধরণের ঘটনা আর দেখতে চাই না। পাশাপাশি আমরা তার অপরাধের শাস্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এবং চেয়ারম্যানের নিকট অনুরোধ করেছি। যদি দুদিনের মধ্যে বিচার করা না হয় তাহলে তাদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপার, ইউএনও এবং ওসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো যাতে তাদের কে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও তিনি বলেন যে সকল কিছুতেও যদি কার্যকরী ফলাফল পাওয়া না যায় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোতাহার হোসেন, সাধারণ স¤পাদক হাদিস মেম্বার,ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাজেদ হাওলাদার, আবদুল হক রাঢ়ী, আল আমিন রাঢ়ী, সদর থানা যুবদলের নেতা ইয়াসির আরাফাত সোহাগ, যুবদল নেতা জাকির হোসেন রাজু, যুবদল নেতা মো. জাপর পন্ডিত, মো. যুবরাজ, জসিম বাঘা এছাড়াও ছাত্রদল, শ্রমিকদল, সেচ্ছাসেবকদলসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে শিবপুর ইউনিয়ন সচিবের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, শিবপুর ইউনিয়ন গ্রাম পুলিশদের কতৃক বিএনপির নেতা নুরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং সে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এই মর্মে আমাদেরকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।