দৌলতখান উপজেলা বাংলাবাজার কৃষি উপকেন্দ্রের জমি দখল এর পায়তারা
ভোলা প্রতিনিধিঃ ভোলার দৌলতখান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীন বাংলাবাজার কৃষি উপকেন্দ্রের জমি দখল করার অবিযোগ পাওয়া গিয়েছে , কয়েক মাস পুর্বে মাকছুদ খান কৃষি উপকেন্দ্রের জমিতে দোকান ঘর উত্তোলন করতে আসলে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির কর্মরত পুলিশ গন ঐ কাজ বন্ধ করদেন, এরই আলোকে গত ২ মাস পুর্বে দৌলতখান সহকারী কমিশনারের ( ভূমি ) কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মাপজোক করেন । বাংলাবাজার কৃষি উপকেন্দ্রের জমির অবস্থান দৌলতখানের উত্তর – জানগর ইউনিয়নের মধ্য জয়নগর গ্রামে । ভোলা – চরফ্যাশন সড়কের পাশে ‘ বাংলাবাজার কৃমি – উপকেন্দ্র ” নামে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ২০২০ সালের মাঝা মাঝি সময়ে ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। নির্মাণাধীন ভবনের পেছনে আরও দুটি পরিত্যক্ত ভবন আছে । যেগুলো একসময় এলাকার কৃষকদের কাছে ‘ বীজ ওষুধের ঘর ‘ নামে পরিচিত ছিল । সরেজমিন দেখা যায় , পরিত্যক্ত ভবন দুটির পেছনে পূর্ব দিকে কৃষি বিভাগের সীমানা পিলার । এর পাশে টিনের বেড়া দেওয়া ওই বেড়া দিয়েছেন স্থানীয় ক্রয় কৃত জমির মালিক মাকসুদ খান ও তাঁর লোকজন, মাকসুদ খান জমি ক্রয় করার সময় চৌদির মাধ্যমে দলিলএ উল্লেক্ষ্য আছে পশ্চিম পাশে কৃষি উপকেন্দ্রের জমি এখন সে পশ্চিম পাশে সড়ক ও বাংলাবাজারের দিকের জমি দখল করার চেস্টা করছেন।
এ বিষয়ে ওই এলাকার স্থানীয় কাজল মেম্বার, ফরিদ, শামিম কাজি, মোঃ কবির, সহ অনেকের সাথে আলাপকালে তার জানান, মাকসুদ খান ও তার লোক জন টিনের চাল দিয়ে দখল করা জন্য চেস্টা চালাচ্ছে বাংলাবাজার কৃষি উপকেন্দ্রের জমি। জমির মাঝ বরাবর সীমানাপ্রাচীর তুলছেন । তাঁদের জমির পরিমাণ প্রায় ৪ শতাংশ, খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ১২ অক্টোবর ২০২১ ইং নতুন করে রাতের আধারে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করে, তারপর বাংলাবাজার পুলিশ ফারির সহযোগিতায় ওই নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয় ।
আরো জানান কৃষি বিভাগের সিড সেন্টারের সামনের জমি ছিল ডোবা – নালা ও পরিচা তখন যে যেমন পেরেছেন , দখল করে দোকান তুলেছেন । জমি ভরাট হওয়ার পরে মাকসুদ খান সরকারি এসব জমির মালিকানা দাবি করছেন । অথচ কয়েক দশক ধরে এলাকাবাসী এই জমি কৃষি বিভাগের বলেই জেনে এসেছে ।
অভিযুক্ত মাকসুদ খান রাতের আঁধারে সীমানাপ্রাচীর তোলার অস্বীকার করে, আরো বলেন কৃষি বিভাগের জমি ৩১ নম্বর দাগে কিন্তু ৩ নম্বর দাগের জমি দখল করতে চাইছে । এটা নিয়েই বিরোধ, সহকারী কমিশনারের ভুমি কার্যালয় থেকে আমাকে জমি মেপে কাগজ দেয়া হয়েছে,কিন্তু তার কাছে অনুমোদিত কাগজ পত্র চাওয়া হলে সে কোন কাগজ দেখাতে পারেনি ,
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভোলা কার্যালয়ের উপপরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন , সেখানে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ৩৩ শতাংশ জমি রয়েছে । ১৯৭৬ সাল থেকে এ পয্যন্ত নিয়মিত খাজনা দেয়া হচ্ছে। দখলদার সরকারি জমিতে মার্কেট করার জন্য অন্য দাগে সরাতে চাইছে। আমাদের পক্ষ থেকে সরকারী জমি রক্ষাতে যতটুকু আইনের সহযোগিতা দরকার তা চালিয়ে যাব,