দৌলতখানে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বসতবাড়ী ও পুকুর দখলের চেষ্টা

ভোলার কথা
আশিকুর রহমান শান্ত, বিশেষ প্রতিবেদক সম্পাদক
প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

আশিকুর রহমান শান্ত, বিশেষ প্রতিবেদকঃ

ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চর-পাতা ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে মাইনুদ্দিন গংদের বসতবাড়ী ও পুকুর দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম মানিক ওরফে মোল্লা মানিক গংদের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাইনুদ্দিন গংদের বাবা’র পৈত্রিক সম্পত্তিতে জন্মসূত্র থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভোগ দখলে থেকে বসতবাড়ি ও পুকুর বাগান করে বসবাস করে আসতেছে। বিগত ১৬ বছর আগে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসলে চরপাতা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হান্নান কেরানী ও তার ভাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা নুরুন্নবী দীর্ঘ এই ১৬ বছর মাইনুদ্দিন গংদের উপর মামলা হামলা চালিয়ে তাদেরকে দিশেহারা করে দেয়। এ নিয়ে মাইনুদ্দিন গংরা একাধিকবার স্থানীয় পর্যায়ে ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দীর্ঘ এই ১৬ বছরে এ সমস্যার সমাধান না করে বরং থানায় ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার অপরাধে মাইনুদ্দিন গংদের ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালান আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীরা।

গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে সাময়িক সময়ের জন্য কিছুটা স্বস্তিতে ফেরেন ভুক্তভোগী মাইনুদ্দিন গংরা। এ স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি তাদের, কিছুদিন পরেই হান্নান কেরানী ও নূর নবী গংদের চাচাতো ভাই বিএনপি’র নেতা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মানিক ও মহিউদ্দিন এর সাথে একত্রিত হয়ে নিজেদেরকে বিএনপি দাবি করে আবারও ভুক্তভোগী মাইনুদ্দিন গংদের উপর অত্যাচার চালায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে সাইফুল ইসলাম মানিকের নেতৃত্বে নুর নবী গংরা মাইনুদ্দিন গংদের পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাছ ধরে নিয়ে যায়। তার দুইদিন পরে আবারো তারা জোরপূর্বক ছোট মাছের রেনু সেই পুকুরে ছেড়ে যায়। যা পরবর্তীতে মাইনুদ্দিন গংরা স্থানীয় দৌলতখান থানায় জানালে সেখান থেকে পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যায়। এমতাবস্থায় এখন পর্যন্ত এই সমস্যার কোন ধরনের সমাধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মাইনুদ্দিন গংগা।

দৌলতখান থানার এসআই সালাউদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দৌলতখান থানায় বসে সমাধান করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে উভয়পক্ষ সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না থাকায় এখন পর্যন্ত বিষয়টি সমাধান করা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি আবারও সামনে এসেছে। তবে উভয়পক্ষ বসে একটি তারিখ দিয়ে সমাধান করে নিবে বলে আমাদেরকে জানিয়েছে।

উক্ত অভিযোগের বিষয় সাইফুল ইসলাম মানিক ওরফে মোল্লা মানিক এর বাবার কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই সমস্যাটি দীর্ঘ ১৬ বছরের। দীর্ঘ ১৬ বছর পর্যন্ত এই সমস্যাটির সমাধান করতে পারে নায়। তবে যেহেতু থানায় এ বিষয়ে কথা হয়েছে সেহেতু উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে একটি তারিখ নির্ধারণ করে সেই তারিখেই সমস্যাটি সমাধান করা হবে।