জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ বিপাকে পরেছেন জেলেরা।
দৌলতখান প্রতিনিধিঃ-
ভোলার দৌলতখানের মেঘনায় ২ মাস পর নদীতে নেমেছেন জেলেরা। এতে সরগরম হয়ে উঠেছে ইলিশের ঘাট। তবে অন্য সময়ের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম। মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে জেলেদের। নদী থেকে মাছ উঠে আসছে আড়তে। সেখানেই চলছে কেনা-বেচা। তবে নদীতে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম হওয়ায় দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন আড়ৎদাররা। সারাদিন নদীতে জাল বেয়েও কাঙ্খিত পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন না দৌলতখানের জেলেরা। এ উপজেলায় আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে নদী। এবার নদীতে মাছ কম থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অনিশ্চয়াতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এতে ঈদ আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে তাদের। আর মাত্র আট দিন বাকি ঈদের।’
প্রতিদিন জাল, নৌকা, ও ট্রলারসহ মাছ ধরার সরাঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামলেও তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে খালি হাতে। কারণ যেটুকু মাছ পাচ্ছেন তা দিয়ে খরচ ওঠেনা তাদের। এতে অনেকের মাছ ধারার আগ্রহ কমে গেছে। কেউ কেউ আবার ঋণের বোঝা নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।’
দৌলতখান উপজেলার পাতারখাল মাছঘাট, ভবানীপুর মাছঘাট, গোষেরহাট এলাকার মাছঘাট, চরপাতা এলাকার মাছঘাট গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায় ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুইমাস ইলিশ শিকার বন্ধ থাকার পর মে মাসের শুরুতেই নদীতে ইলিশ শিকারে নেমেছিলেন উপজেলার জেলেরা। ঈদের আর আটদিন বাকি থাকায় জেলেরা কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশায় পড়েছেন।’
জেলে মো. ইউসুফ, আব্দুলমালেক রুবেল মাঝিসহ বেশ কয়েকজস জেলে জানান, ‘নদীতে এখন জাল বেয়ে তেলের খরচ উঠছেনা। আগে এমন সময় নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তো। দুই মাস নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকর পর ভাবছি নদীতে অনেক ইলিশ ধরা পড়বে কিন্তু মাছ নেই। তারা জানান, ‘ঈদের আর আটদিন বাকি আছে ছেলে-মেয়েদের এখনও নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতেহ পারিনি। এদিকে নদীতে মাছ কম থাকায় আড়ৎগুলোও জমে উঠেনি। সামান্ন কিছু মাছের কেনা বেচা হলেও তাতে সস্তুষ্ট নন আড়ৎদাররা। আড়ৎদার রিয়াজ জানান, ‘নদীতে তেমন মাছ নেই। জেলেরাও কষ্টে আছে। সামনে ঈদ নদীতে মাছ না থাকায় জেলেদের ও মুখ মলিন হয়েগেছে।’
এব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন জানান, ‘এ মুহুর্তে নদীতে ইলিশের সংকট রয়েছে। তবে আগামী দু’এক মাসের মধ্যে ইলিশ ধরা পড়লে জেলেদের দুর্দিন কেটে যাবে।’