তজুমদ্দিনে একাধিক মামলায় অজ্ঞাতসহ শতাধিক আসামি
তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ
ভোলা-৩ আসনের সাবেক সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ স¤পাদক, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য, যুবলীগ সভাপতি, ইউপি সদস্য সহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে রাখা হয়েছে আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে।
এছাড়াও চাচঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের বের্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহেরসহ ১৭জনসহ অঞ্জাতনামা ১৫/২০ জনের নাম উল্লেখ করে গিয়াস উদ্দিন নামে একজন বুধবার (২৮ আগস্ট) একটি মামলা করেন।
এদিকে গত বৃহ¯পতিবার (২২ আগস্ট) তজুমদ্দিন থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন মো. ইসমাইল (৩৫) পিতা.মো.ইব্রাহিম, মাওলানা কান্দি ৪ নম্বর ওয়ার্ড। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ স¤পাদক মো. মিজান পোদ্দার (৪৫), আ.লীগ নেতা মো. গিয়াস পোদ্দার (৪৭), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সাধারণ স¤পাদক ফজলুল হক দেওয়ান (৬০), চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্যাহ কিরন (৪৮), সোনাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিশু (৪২), জেলা পরিষদ সদস্য ইশতিয়াক হাসান (৩৮), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিন মহাজন (৪০), অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণার জন্য একটি গাড়ী বহর ১৫-১২-২০১৮ তারিখ সকাল ৯.৩০ ঘটিকার সময় তার নির্বাচনীয় এলাকা তজুমদ্দিন উপজেলা হয়ে দক্ষিণ খাসের হাট বাজারে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তজুমদ্দিন উপজেলা শাখার কার্যালয়ের সামনে আসলে উপরোক্ত আসামিরা সাবেক সাংসদের গড়ী বহরের গতিপথ রোদ করে হামলা চালায়। এতে গাড়ী ভাংচুর সহ অনেক নেতা কর্মী আহত (জখম) হয়। সে সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক ছিলোনা বিধায় এজাহারে মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
মামলা নম্বর ১০/৮৮ তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।