ভোলার তজুমদ্দিন পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেলেন এক সন্তানের জননী।
মিলি সিকদারঃ স্বামীর অগোচরে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেলেন, স্বামীর চাচাতো ভাইর সাথে জান্নাতুল ফেরদাউস নামে এক গৃহবধূ। অভিযোগ করে জান্নাতের স্বামী মাওলানা সিরাজ পন্ডিত বলেন, গত ২৪ আগষ্ট ২০২১ রাত ৯টার দিকে শম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়াল মারা ৯নং ওয়ার্ডের আমার নিজ বাড়িতে আনুমানিক রাত ৯টার দিকে স্বপন ফরজী, সাইফুল মিস্ত্রী, নিরব, সুজন, আহাম্মদ আলীসহ ৮/১০ জনের একটি দল আমার স্ত্রীকে আমার চাচাতো ভাই, আলমগীর ফরাজীর ছেলে হাফেজ মোঃ রাসেলকে আমার স্ত্রীর জান্নাতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। তারা তাদেরকে আটক করলে হাফেজ মোঃ রাসেল পালাতে গিয়ে পুকুড়ে পরে তার নাক ফেটে রক্তাক্ত হয়। এমতাবস্থায় হাফেজ মোঃ রাসেলের চাচা আমির ফারাজী তার ক্ষমাতা প্রয়োগ করে এবং শালিশ বিচারের নাম করে রাসেলকে এলাকাবাসী কাছ থেকে নিয়ে যায়। জান্নাতুল ফেরদাউস আমাকে মোবাইল ফোনে বলে হাফেজ মোঃ রাসেলকে এলাকার মানুষ কেন মারে আপনি এসে দেখেন। আমি স্থানীয় লোকজন থেকে সকল ঘটনা জানার পরে আমি আমার স্ত্রীকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি। কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। তখন আমি তাকে বলি তুমি এমন কোন ঘটনা ঘটাইওনা আমি তোমাকে বিশ্বাস করি এবং আমি তোমাকে নিয়ে সংসার করবো। সকালে আমি তার চাচা, মা, ভাই, তার বোন জামাইকে খবর দিয়ে আমার বাড়িতে আনি। আমি বাজারে গেলে, তারা আমার অগোচরে আমার বাসা থেকে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় এসে না পেলে ধলি গৌরনগর ইউনিয়নের ভেদুরিয়া ৩নং ওয়ার্ডে আমার স্বশুর বাড়ী রহম আলী হাজী বাড়িতে গিয়ে জান্নাতুল ফেরদাউসকে আনতে গেলে সে বলে আমি তোর সাথে যাবো না। আমি আজ বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে তোর নামে যৌতুক ও নারী নির্যাতন দিয়ে তোকে জেলের ভাত খাওয়াব।ব্যাপারে আমি লালমোহন ইসলামী ব্যাংকে হাফেজ মোহাম্মদ রাসেলে বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অভিযোগ দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি গ্রহণ করে না। উল্লেখ্য হাফেজ মোহাম্মদ রাসেলে ইসলামী ব্যাংক লালমোহন শাখার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী এর পর আমি এ ব্যাপারে তজুমদ্দিন থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ আমার মামলাটি না নিলে আমি আদালতে এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করি। আদালতের মামলা নং-এম. পি ৭০/২১ সাংবাদিকরা একাদিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও জান্নাতুল ফেরদাউস কে পায়নি, তিনি তার বাবার বড়ি থেকে তাদেরকে দেখে পালিয়ে যায়।