নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মেঘনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল | ৮ জনের জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার:
ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়ে ২২ দিনের ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে টহল অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। রবিবার সকালে ভোলার মেঘনা নদীর তুলাতলি তুলাতলি, ইলিশা, ভোলার খালসহ বিভিন্ন পয়েন্টে টহল অভিযান চালায় বাংলাদেশ কেস্টগার্ড দক্ষিণ জোন। এছাড়াও মৎস্যবিভাগ ও পুলিশসহ ৮টি টহল টিম নদীতে রয়েছে। তবে প্রথমদিন দুপুর পর্যন্ত কোথায় কোন আটকের কোন খবর পাওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, জেলেরা যাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য সার্বক্ষনিক টহলে থাকবে। ভোলা কোস্টগার্ডের স্টাফ অফিসার ল্যা. কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তারভীর জানান, মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ মোতাবেক ইলিশেী নিরাপদ প্রজণেন লক্ষে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি ও মজুদ নিষিদ্ধ। জেলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে নিষেধাজ্ঞা চলছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে অন্যান্য সংস্থার সাথে কোস্টগার্ড সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা শুরুর প্রথমদিন ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৮ জেলেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় জব্দ করা হয়েছে ৮ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৮০ কেজি মাছ। রোববার (১৩ অক্টোবর) উপজেলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাছ ধরার সময় ৮ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের জরিমানা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সালেক মুহিত। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জব্দ করা জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। আর মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
ইলিশের বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রজননের সময় বিবেচনা করে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মৎস্যবিভাগ, কোস্টগার্ড ও পুলিশ।