তারেক রহমান সরকারের পতন আন্দোলনের মূল কারিগর ছিলেন : রিজভী
নিউজ ডেস্কঃ
‘জুলাই বিপ্লবের মূল কারিগর ছিলেন তারেক রহমান’— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘আজকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। আন্দোলনে দেশের ছাত্রসমাজ এবং তরুণরা নিজের জীবনবাজি রেখে সংগ্রাম করে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে। আর এ সংগ্রামের মূল কারিগর ছিলেন তারেক রহমান।’
শনিবার বিকালে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণসভায় বিএনপির মুখপাত্র এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন তার সিদ্ধান্তই সঠিক। সরকারের একতরফা নির্বাচনের কারণে দেশ-বিদেশে আওয়ামী লীগের অবস্থান জিরোতে নেমে আসে। সম্প্রতি ভারতের গণমাধ্যমও বলেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারাই ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ।
ছাত্র-জনতার সরকার পতন আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বেলকুচি, চৌহালী এবং এনায়েতপুর থানা বিএনপির উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘হাজারো জীবনের বিনিময়ে পাওয়া বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রতিবিপ্লবের মাধ্যমে নস্যাৎ করার চক্রান্তে লিপ্ত। আজকে যদি সেই খুনী ও লুটেরাদের দ্রুত বিচার করা না হয় তাহলে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।’
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে গুপ্ত হত্যা শুরু করেছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘রাতের আঁধারে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। তাদের পেটোয়া বাহিনী ছাত্রলীগকে দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে সাধারণ ছাত্রদেরকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করার অপচেষ্টা করছে।’
এই স্মরণসভা ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় স্থানীয় বিএনপি। সভায় কয়েক কিলোমিটার দূরে চৌহালী উপজেলা থেকে ট্রলার এবং ছোট ছোট নৌকা দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী এ স্মরণসভায় যোগ দেন। এছাড়াও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলা থেকে নৌকাপথে, সড়কপথে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশগ্রহণ করেন। এ স্মরণসভাকে কেন্দ্র করে যমুনা সেতু থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত লাগানো হয়েছে অসংখ্য তোরণ, ব্যানার এবং ফেস্টুন।
বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব বনি আমিন ও এনায়েতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জু সিকদারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, উপদেষ্টা ডা. এমএ মুহিত, বেলকুচি উপজেলার আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম গোলাম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলতাফ প্রামাণিক, এনায়েতপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মন্টু সরকার, চৌহালী উপজেলার সভাপতি জাহিদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ময়নাল ক্বারী, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়েস, ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েদ হোসেন সবুজ এবং মহিলা দলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন হাসি প্রমুখ।