এক লাখ টাকার বেশি ব্যাংক থেকে উত্তোলন না যাওয়ার কারন

ভোলার কথা
অর্থনীতি ডেস্ক সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:০২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৪

অর্থনীতি ডেস্কঃ

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর দেশ থেকে পাচারকারীরা বিপুল পরিমাণে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন বা নেওয়ার পায়তারায় আছে সম্প্রতি এমন অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে অর্থপাচার বন্ধে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের হিসাব স্থগিত রাখার বিষয়ে দাবি তুলেছেন সাংবাদিকরা। সেই পরিপ্রক্ষিতে অর্থপাচার বন্ধসহ অর্থ নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সেই হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) ব্যাংকের গ্রাহক এক হিসাব থেকে এক লাখের বেশি নগদ টাকা তুলতে পারেনি। অবশ্য এবিষয়ে গতকাল বুধবার রাতেই এক জরুরি বার্তায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নির্দেশনায় জানায়, আজ এক লাখের বেশি নগদ টাকা তোলা যাবে না।

দেশের দুই বেসরকারি ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ বহুগুনে বাড়ে। এতে বিশেষ করে আওয়ামী লীগপন্থী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ ছিল বেশি। এসব অর্থ যাতে অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সেই জন্য নগদ টাকা উত্তোলনে সীমা দিয়ে নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

তারা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু আজকের জন্য প্রধান কার্যালয় থেকে শাখায় টাকা দেওয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহকদের চেকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

নগদ টাকা তোলার সীমা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পর নগদ লেনদেনে চাপ বেড়েছে। এতে অর্থ ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে শুধু আজকের জন্য ব্যাংক থেকে নগদ সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন গ্রাহকরা। তবে একজন গ্রাহক যেকোনো পরিমাণ নগদ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।’

মেজবাউল হক আরও বলেন, ‘নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান আজ। নতুন সরকার গঠন পর তারা সিদ্ধান্ত নিবেন। তবে সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে ফের আগের নিয়মে লেনদেন করা যাবে।’