ফ্রান্স সহায়তা করতে চায় দেশে বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপনে

ভোলার কথা
ডেস্ক রিপোর্ট সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্টঃ

বজ্রপাতে প্রতিবছরই দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। যাদের অধিকাংশই কৃষক ও মাঠেঘাটে কাজ করা মানুষ। চলতি বছর বৃষ্টিপাত শুরুর পর গত এক মাসে বজ্রপাতে অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় দেশে বজ্রপাত প্রতিরোধে প্রযুক্তি জ্ঞান বিনিময়, বজ্রপাত নিরোধযন্ত্র স্থাপন, অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স।

সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপে সাক্ষাৎ করতে এসে তাৎক্ষণিক এক অনানুষ্ঠানিক বেঠকে রাষ্ট্রদূত এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, বজ্র নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করাসহ এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তুলতে কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

 

বর্তমান সরকার আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে কাজ করছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, সম্প্রতি বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়, এ বিষয়ে জনসচেতনতাও বাড়াতে হবে।

মহিববুর রহমান জানান, বজ্র নিরোধক প্রযুক্তি সুলভ ও ব্যাপকভিত্তিক করতে গবেষণা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় ও হস্তান্তরের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

জাতিসংঘ বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ৩০০ জন বজ্রপাতে মারা যায়৷ সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে মারা যায় বছরে গড়ে ২০ জনেরও কম। মূলত গাছপালা কেটে ফেলা বিশেষ করে খোলা মাঠে উঁচু গাছ ধবংস করে ফেলা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া এবং অসচেতনতার কারণে বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

ফিনল্যান্ডের বজ্রপাত বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ভাইসালার তথ্য বলছে, বাংলাদেশে বজ্রপাতে যারা মারা যান, তাদের ৭০% কৃষক বা যারা খোলা মাঠে কাজ করেন। এছাড়া বাড়ি ফেরার পথে ১৪% এবং গোসল ও মাছ ধরার সময় ১৩% বজ্রপাতের ফলে মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশের আবাহওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগে কুমিল্লা, নোয়াখালী, যশোর, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগ আগে বজ্রপ্রবণ ছিল। এখন সারাদেশেই বজ্রপাত হয়।

মানুষ ছাড়াও বজ্রপাতে প্রচুর গবাদিপশুও মারা যায়। গরম বেশি হওয়ায় চলতি বছর বেশি বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।