বৃক্ষরোপণে ‘জাতীয় নির্দেশিকা’ প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বনায়নের জন্য ‘ন্যাশনাল গাইডলাইন্স বা জাতীয় নির্দেশিকা’ প্রণয়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। যেসব বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে নির্দেশিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছেন মন্ত্রী।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পগুলোর মার্চ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং জলাশয় রক্ষা করতে হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ৮০ নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু এবং অভিযোজনমূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এ যাবত তিন হাজার ৮১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন।