ইফতার শেষে খুলনায় বিএনপির পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল শেষে জেলা যুবদলের ৫ জন নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর খুলনা ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতারা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানিয়েছেন, খুলনা ক্লাবে জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে ইফতারির প্যাকেট বণ্টনকে কেন্দ্র করে নগর ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের কতিপয় নেতার মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এ সময়ে কিছু ছাত্রদল নেতা উপস্থিত জেলা যুবদল নেতাদের দেখে নেবার হুমকি দিয়ে ইফতার না করেই স্থান ত্যাগ করেন। এ ঘটনার জেরধরে ইফতারের পর খুলনা ক্লাবের সামনে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ধারালো অস্ত্রধারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৫জন যুবদল নেতাকে রক্তাক্ত জখম করে। খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ইফতার মাহফিলে এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, এমন ধারণাই ছিল না। এখনো কোনোপক্ষই লিখিত অভিযোগ দাখিল করেননি। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে বিএনপির ইফতার পরবর্তীতে খুলনা ক্লাবের সামনে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় যুবদলের পাঁচজন নেতা গুরুতর জখম হয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন খুলনা জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।বিবৃতিদাতারা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী ও যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা জানিয়েছেন, খুলনা জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিল পরবর্তীতে খুলনা ক্লাব থেকে বের হচ্ছিলেন যুবদল নেতারা। এসময়ে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলে ৪০ থেকে ৫০জন ধারালো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাদিমুজ্জামান জনি, যুবদল নেতা তৌহিদ উদ্দিন দারা, রাজিব, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সোহাগ গোলদার ও কয়রা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অলিদকে। সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাত রক্তাক্ত জখম হয়েছেন তারা। পরে তাদের উদ্ধার করে খুলনা জেনারেল ও খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।