হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করেছে
নিউজ ডেক্স ঃ
তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার (১০ মে) তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার (১১ মে) দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পিবিআইর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে মঙ্গলবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাবুল আক্তার মামলার বাদী। সে নিজেই চট্টগ্রামে এসে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। এ ঘটনায় ঢাকায় অবস্থান করা মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে নিজের জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে কয়েক দিনের মাথায় মামলার তদন্তে নতুন মোড় নেয়। একপর্যায়ে আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তার শ্বশুর মোশারফ হোসেন।
মাহমুদা খানম মিতু
পিবিআই সূত্র জানায়, আলোচিত এই মামলাটি প্রথমে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা পুলিশ ও চট্টগ্রামের গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআই-কে দেওয়া হয়। পিবিআই তদন্তে নেমে প্রথমবারের মতো মামলার বাদী ও সন্দেহভাজন হিসেবে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছে। কয়েকদিন আগে নিহত মিতুর বাবার সঙ্গেও পিবিআইর তদন্ত সংশ্লিষ্টরা কথা বলেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
আলোচিত এই হত্যা মামলা নিয়ে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে বাবুল আক্তারকে পুলিশ সুপারের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন বলা হলেও তিনি পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছিলেন। পুলিশের চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর তিনি প্রথমে কিছু দিন রাজধানীর আদ্বদীন হাসপাতালে চাকরি করলেও বর্তমানে ব্যবসা করছেন বলে জানা গেছে।
এসপি বাবুলের স্ত্রী মিতু হত্যা: তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান হাইকোর্ট
খুনিদের ভাড়া করে পুলিশের সোর্স মুছা, তার গুলিতেই মিতু খুন
পুলিশের সঙ্গে সমঝোতার কথা ভিত্তিহীন: বাবুল আক্তার
আসামি ধরতে না পারায় শেষ হচ্ছে না আলোচিত হত্যা মামলাগুলোর তদন্ত।