চরফ্যাসশনে ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের অনিয়ম, অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে তাকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নীলকমল ইউনিয়নের মুন্সীরহাট বাজার ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ এর কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয়রা।
বিক্ষোভ সমাবেশ বক্তারা বলেন, গত নির্বাচনে ইকবাল হোসেন লিখন আওয়ামী লীগের প্রভাবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেন। গত ২০ বছরে বিভিন্ন মেয়াদে ইউনিয়নের বিভিন্ন বরাদ্দ অর্থ আত্মসাৎ করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছে। এতে করে ইউনিয়নের সাধারণ জনগন সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
ইকবাল হোসেন লিখন একজন দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান। তিনি টাকা ছাড়া কোনো সুবিধা জনগণকে দেন না।
বক্তারা বলেন, দুর্নীতিবাজ ও দাঙ্গাবাজ ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন বিভিন্ন সহযোগিতার কথা বলে অসহায় মানুষের হয়রানি করেন। গ্রাম্য বিচারে নিজেদের দালালের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে বিচারের রায় দেন। তার দাপটে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ইকবাল হোসেন লিখন স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে পরিষদ পরিচালনা করেন। তিনি তার ইচ্ছামতো বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড বাতিল পছন্দের লোকের মাঝে বরাদ্দ দিতেন। আবার তার কাছের লোকের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে এসব কার্ডসহ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দেন।
হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকা কেজি দরের চাল গোপনে বিক্রি করে দেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি ওই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেন। আমরা এই চেয়ারম্যানের অপসারণ চাই।
এসময় স্থানীয় জনগন কয়েকশ নারী- পুরুষ চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে জাড়– মিছিল করেন।
মানববন্ধনে এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী।
এসময় বক্তব্য রাখেন, নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওরোজ বাবুল, ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোকসেদ আলম, কামরুজ্জামান মুরাদ, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শাহানুর বেগম আরো অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে শতশত মানুষ একাত্বতা ঘোষনা করে অংশগ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন বলেন, আমি জনগণের চেয়ারম্যান হিসাবে ২৫ বছর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে সেবা করেছি। আমি কোন নির্দিষ্ট কোন দলের চেয়ারম্যান ছিলাম। সবাইকে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা সম বন্টন করার চেষ্টা করেছি। গত ৫ আগস্ট এর পরে সরকার পরিবর্তন এর পরে সকল চেয়ারম্যান যখন আত্মগোপনে তখন আমি পরিষদে ইউনিয়নের সাধারণ জনগন সেবা দিতে ব্যস্ত। তখন আমাকে এলাকা ছাড়া করার জন্য এই ধরনের ষড়যন্ত্র করে আমার পতি পক্ষরা। তারা তাদের পছন্দের লোক কে ইউনিয়ন পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান বানানোর জন্য এই ষড়যন্ত্র বলে জানান।