মাইকে ঘোষণা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা-লুটপাট
চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়ার নির্দেশে দুলারহাট বাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নওরোজ বাবুলের বিরুদ্ধে।
এ সময় হামলাকারীরা তার বসত ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র লুটে নেন। এতেই ক্ষান্ত হননি হামলাকারীরা। এতে চেয়ারম্যান পরিবারের তিন সদস্য স্ত্রী জোবায়েদা খানম, বড় ভাই মো. ফারুক হোসেন, ছোট ভাই ওয়াহিদুজ্জামান টুটুল আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে হামলাকারীদের তাণ্ডবে আহত পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় ওই এলাকা জুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীদের সহযোগিতায় প্রায় শতাধিক লোকজন প্রথমে নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদে হামলা চালায়। এ সময় চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখনকে পরিষদে না পেয়ে ওই দুষ্কৃতিকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই হামলাকারীরা তার বসত ঘরে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র লুটে নেয়ার সময় দুষ্কৃতিকারীদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন লিখন জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পারিবারিক কাজে ভোলা সদরে অবস্থান করছিলেন। এ সুযোগে নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নওরোজ বাবুলের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারীদের নিয়ে তার বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা তার ঘরে থাকা মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে যায়। ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারও লুটে নেয়। পাশাপাশি ঘরের বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তাদের হামলায় পরিবারের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
তবে নীলকমল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নওরোজ বাবুল তার নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবৈধ সরকারের বিনাভোটের চেয়ারম্যানকে পরিষদ ছেড়ে দেয়ার জন্য বলতে আমরা তার বাড়ি সংলগ্ন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গেলে তার বাড়ি থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র অতর্কিত হামলা চালায় আমাদের ওপর। এ সময় আমাদের প্রায় ৭/৮ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন তাদের হামলায়।
এ ব্যাপারে দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে নৌ-বাহিনী না আসায় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি।