চরফ্যাশনে ইউএনও এর গাড়ি সাথে টমটমের ধাক্কা লাগায় ড্রাইভারকে ৪দিন আটকে রাখার অভিযোগ।
মোঃ ইলিয়াছ চৌধুরী ঃ
ভোলার চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এর সরকারি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এক টমটম চালককে অফিসের ২০৩ নং কক্ষে আটক করে রেখেছেন৷ আটককৃত আরিফ ভোলা জেলার চর সামাইয়া ইউনিয়ন ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা৷
জানা যায়, গত ৩মে থেকে গাড়ির ক্ষতিপূরণের জন্য দাবীকৃত ১ লক্ষ টাকা দিতে না পাড়ায় টমটম চালক আরিফকে ইউএনও কার্যালয়ে আটকে রেখে মানুষিক ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ ঘটনাটি গনমাধ্যম কর্মীরা জানতে পারলে এঘটনা যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে তদবির চালানো হচ্ছে। চরফ্যাসন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেখা যায়, টমটম চালক আরিফকে একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।
আরিফ জানায়, গত ৩ মে তিনি মাছের পোনা নিয়ে ভোলা সদরের বাংলা বাজার এলাকায় গেলে চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িটি ওভার টেক করতে আমার বাম পাশে বড় গর্ত থাকায় প্রয়োজনীয় জায়গা দিতে পারিনি৷ এমন সময় মুহুর্তের মধ্যে ধাক্কা লাগে ইউএনওর গাড়ির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে আটক করে ক্ষতিপূরণের জন্য ৪দিন আটকে রাখে৷ আটকের সময় একটি লোক তাকে মাত্র দুই বেলা খাবার দিতো। বাকী বেলার খাবার ও নাস্তা তিনি পকেট থেকে টাকা দিয়ে লোক মাধ্যমে এনে খেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গাড়ি মেরামত করতে নাকি ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা লাগবে মেরামতের তিন ভাগের এক ভাগ টাকা ওই চালকের কাছে দাবী করা হয়। কিন্তু অসহায় চালক বলেন, স্যার আমার কিছু নাই যে বিক্রি করে এনে ওই টাকা দিব। তারপরও অনেক কস্টে ম্যানেজ করে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বললেও তাতে মনগলেনি ইউএনওর। তাই ইউএনও অফিসের কক্ষে চালককে আটকে রাখেন৷
এ ব্যাপার চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, গত ৩ মে সন্ধ্যার দিকে তার গাড়িকে টমটম ওভার টেক করার সময় ডান দিকে মোড নেয়ার সময় গাড়িটি ৪/৫ লাখ টাকার ক্ষতি গ্রস্ত হয়। তখন চালককে এনে থানায় দেয়া হয়। পর দিন তাকে ইউএনওর অফিসে আনা হয়। তার অফিসের স্টাফ দিয়ে তাকে খাবার দেয়া সহ কোন মারধর যাতে করা না হয় তার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এতদিন চালকের কোন আত্নীয় স্বজন যোগাযোগ করেনি। আজকে তার বাবা এসেছেন৷ শেষে সাংবাদিকদের সামনেই আটককৃত আরিফ কে বিনা জরিমানায় তার বাবার হতে তুলে দেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন৷