শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে সব হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে : মামুনুল হক

ভোলার কথা
স্টাফ রিপোর্টার সম্পাদক
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর নবী প্রেমিক ৪ শহীদসহ ২০০৯ সাল হতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল শহীদদের স্মরণে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে ইসলামী সম্মেলন এর আয়োজন করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার উদ্দ্যোগে এ সম্মেলন বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।

হেফাজতে ইসলাম ভোলা জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আনাছ এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম এর সহ-সভাপতি হযরত মাও. আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর দা.বা.। সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্ম মহা সচিব শাইখুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক দা.বা।

মামুনুল হক শহীদদের স্মরণ করে বলেন, হেফাজত দেশ ছেড়ে পালায়নি। পালিয়েছে খুনি হাসিনা। ২০০৯ হতে ২০২৪ এর ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাপলা চত্বর থেকে শুরু করে যত হত্যাকান্ড হয়েছে দ্রুত সবগুলোর বিচার করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ঐতিহ্যাসিক ছাত্র-জনতার বিল্পবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। তাই আগামীর বাংলাদেশ হবে হেফাজতের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। তাই প্রতিটি জেলা উপজেলার পাড়া মহলায় হেফাজতে ইসলামের ঘাটি গড়ে তুলতে হবে। নবীর প্রেমিকরা কারাঘরে থাকবে এটা কোন ভাবে মেনে নেয়া যাবে না। তাদেরকে দ্রুত নি:শর্তে মুক্তি দিতে হবে।

মামুনুল হক আরো বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার পশ্চিমাদের কোন এজেন্ট বাস্তবায়ন করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াবো। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্ম মহা সচিব হযরত মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী দা.বা, বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলাম এর অর্থ সম্পাদক হযরত মাও. মনির হুসাইন কাসেমী দা.বা প্রমূখ সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার আলেম বৃন্দ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নবীকে কটক্তি করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় নিহত ৪ পরিবারের হাতে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন হেফাজতের যুগ্ম মহা সচিব মামুমুল হক। এ সম্মেলনে জেলা উপজেলার হাজার হাজার হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহন করেন।