বন্য পাখি আটক, অতপর মুক্ত
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলার দৌলতখান উপজেলার মিয়ার হাট বাজারে একটি দোকানে খাঁচায় রেখে বিক্রির সময় ১৬টি পাখি উদ্ধারের পর সেগুলো মুক্ত আকাশে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত পাখিগুলোর মধ্যে ১৬টিই ছিলো ঘুঘু পাখি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ৩ টার সময় মিয়ার হাট বাজারে মাশাল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি দোকান থেকে বন বিভাগের কর্মকর্তা পাখিগুলো উদ্ধার করে মুক্ত করে দেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলার কয়েকজন সাংবাদিক জানতে পারেন যে দৌলতখান উপজেলার মিয়ার হাট বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে কিছু পাখি খাঁচায় আটকা রাখা হয়ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানে রক্ষিত অবস্থায় এর সত্যতা পান। কাগজপত্রের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন দোকানের মাকিক কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দোকানের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, আমি টাকা দিয়ে পাখি কিনেছি এবং পাখির ব্যবসা করি এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি কাগজপত্র করবো কিনা। তবে পাখি বিক্রি করতে গিয়ে যদি কোন কাগজপত্র করা লাগে পরবর্তীতে করে নেব।
সাংাবাদিকদের কাছ থেকে দৌলতখান রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এমন খবর পেয়ে তিনি বলেন, আপনাদের কাছ থেকে তথ্য পেলাম, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর কিছুক্ষণ পরই দৌলতখান বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বন কর্মকর্তা তৌফিকুল ইসলাম পাখির দোকানে উপস্থিত হয়ে মালিক আব্দুর রহিমকে কাগজপত্র দেখাতে বললে তিনি তা দেখাতে পারেননি। পরে দোকানের খাঁচা থেকে ১৬টি ঘুঘু উদ্ধার করে ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী এসব পাখি বিক্রি অবৈধ। তাই আমরা এগুলো উদ্ধার করে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিয়েছি।