হাসি নেই চাষিদের মুখে কিন্তু আখের বাম্পার ফলন

ভোলার কথা
লালমোহন প্রতিনিধি সম্পাদক
প্রকাশিত: ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

লালমোহন প্রতিনিধিঃ

ভোলার লালমোহন উপজেলায় আখের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই চাষিদের মুখে। সম্প্রতি অতিবৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে অনেক এলাকার চাষিদের আখের গোড়া পচে গেছে। এজন্য আখের মিষ্টি কমে গেছে। যার জন্য চাষিরা বাজারে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। আখের মিষ্টি কম হওয়ায় বাজারে অর্ধেক দামে আখ বিক্রি করছেন চাষিরা।

লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৪৫ হেক্টর জমিতে আখের চাষ হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই ২০৮ জাতের আখ। এরইমধ্যে কৃষকরা ক্ষেতের অন্তত ৬০ শতাংশ আখ তুলে ফেলেছেন। এই উপজেলায় ক্ষেত থেকে আগামী দেড় মাসের মধ্যে পুরোপুরিভাবে আখ তোলা সম্পন্ন হবে।

উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ফুলবাগিচা এলাকার মো. নাজিম নামে এক চাষি বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই আখের চাষ করছি। বিগত বছরগুলোতে ফলনও ভালো হয়েছে। যার জন্য এ বছর প্রায় ২২ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছি। এবারো আখের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তবে কিছুদিন ধরে বৃষ্টি থাকায় ক্ষেতে পানি জমি আখের গোড়া পচে গেছে। যার জন্য মিষ্টি কিছুটা কম। এ জন্য বাজারে দামও কম পাচ্ছি। এবার আখ চাষে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ক্ষেত থেকে সব আখ তোলা হলে আশা করছি ৫৫ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো। যদি এবার গোড়া না পচতো তাহলে অন্তত ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকার আখ বিক্রি করতে পারতাম।

ওই এলাকার আব্দুল মালেক নামে আরেক আখ চাষি জানান, অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতি বছর আখও চাষ করি। এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে আখের চাষ করেছি। ফলনও অনেক ভালো হয়েছিল। তবে বৃষ্টিতে লাভ কিছুটা কম হবে। কারণ বৃষ্টির পানি জমে আখের গোড়া পচে গেছে। এজন্য দাম কিছুটা কম। এবারের আখ চাষে খরচ হয়েছিল ৫৫ হাজার টাকার মতো। তবে চাষ করা পুরো জমির আখ ক্ষেত থেকেই বেপারীদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। যার মূল্য পেয়েছি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। বৃষ্টিতে যদি আখের গোড়া না পচতো তাহলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এই আখ বিক্রি করতে পারতাম।

লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবু হাসনাইন বলেন, সাধারণত উঁচু জমিতে আখ চাষ করা হয়। তবে এবার অধিক পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। যার জন্য আখের জমিতেও পানি জমে গেছে। এজন্য কিছু কিছু এলাকায় আখের গোড়া পচে গেছে। সেজন্য চাষিরা দাম কিছুটা কম পেলেও তাদের লোকসান হবে না। তবুও আমরা এইসব কৃষকদের অন্যভাবে প্রণোদনা দেওয়ার চেষ্টা করবো।