অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি, ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের

ভোলার কথা
স্টাফ রিপোর্টার সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩:৪৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মাববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসহাক ইবনে ইব্রাহীমসহ ১০১৫জন শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের উত্তর ও পশ্চিম পাশে ৪-৫টি বড় বড় ভবন হচ্ছে। এতে করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এ সকল স্থাপনার জন্য তাদের খেলাধুলায় বিঘœ হচ্ছে। তাই তারা এ সকল স্থপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আল মনির জানান, বিগত ১৫ বছরে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ৪-৫টি সরকারি স্থাপনা করা হয়েছে। যা বিদ্যালয় থেকে কোনো প্রকার অনুমতি নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি মাঠের উত্তর-পূর্ব কর্ণারে একটি তিনতলা ভবনের কাজ করার সময় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাঁধা প্রদান করা হয়। পরে সেটির কাজ বর্তমানে বন্ধ আছে। সেটি নিয়ে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে তাকে ফোন করে বলা হয়, ‘এটি ভোলা পৌরসভার মেয়র করাচ্ছেন। এটি নিয়ে বেশী বারাবাড়ি করলে সমস্যা হবে’।

তিনি আরো জানান, বিদ্যালয়ের দুই শিফটে প্রায় ১৮০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষার্থীদের খেলার জন্য একটি মাত্র মাঠ। সেটিও দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাঠের উত্তর পাশে জেলা শিক্ষা অফিস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, পৌরসভার ওয়াশ রুম রয়েছে। এছাড়ও সেখানে তিনতলা একটি ভবনের কাজ চলমান রয়েছে।

অপরদিকে উত্তর-পশ্চিম কর্ণারে এসএসআই অফিস ও ক্রীড়া সংস্থার সুইমিংপুল নির্মাণ কাজ চলছে। এ সকল ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা কারো কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমিত নেওয়া হয়নি। বিগত দিনে রাজনৈতিক কারনে তারা প্রতিবাদ করারও সাহস পায়নি। তাই যার সেভাবে মন চাইছে সেভাবে দখল করে নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয়ের যায়গায় থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করার দাবি জানান তিনি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেগম ফাতেমা জোহুরা জানান, বিদ্যালয়ের নামে দুইটি খতিয়ানে ১০ একর ৮৬ শতাংশ জমি রয়েছে। প্রতি বছর বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এই জমির খাজনা দেওয়া হয়। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিদ্যালয়ের এক একরেরও বেশী জমি দখল হয়ে গেছে। তারা জমি দখলমুক্ত করার চেষ্টা করায় বিভিন্নভাবে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি ভোলায় নতুন যোগদান করেছেন। আর এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকও তাকে কিছুই অবিহিত করে নাই। তিনি বিষয়টি জেনে যদি সত্যি অবৈধ দখল হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে উচ্ছেদের ব্যবস্থা নিবেন এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খেলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আইনগতভাবে যেটি করা দরকার সেটি করবেন।