অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করলেন জেলা প্রশাসক।

ভোলার কথা
স্টাফ রিপোর্টার সম্পাদক
প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলার লালমোহন বাজারে গতকাল রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে পৌরশহরের কাঠপট্টি এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে গেছে ৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে লালমোহন ও চর ফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তায় প্রায় ২ ঘন্টার প্রচষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গভীর রাতের অগ্নিকান্ডে ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে, এতে করে তাদের অন্তত এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই অগ্নিকান্ডে ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন সকলে।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হবে আস্বস্ত করেছিলেন।

লালমোহন ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। আমাদের সহযোগিতা করতে চরফ্যাশন ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি ইউনিট চলে আসে। উভয় ইউনিট এবং স্থানীয়দের প্রায় দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিভাতে সক্ষম হ‌ই। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। অতি শিঘ্রই তদন্তসাপেক্ষে ক্ষয় ক্ষতির পরিমান ও কারন নির্ধারণ করা যাবে।

লালমোহনে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সাত ব্যবসায়ী ও ছয় জন ঘর মালিকদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌর শহরের উত্তর বাজারে চৌদ্দজন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও ঘর মালিকের প্রত্যেকের হাতে ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ভোলায় সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা প্রশাসক “মোহাম্মদ আজাদ জাহান” এসময় জেলা প্রশাসক অতি সংক্ষিপ্ত এক বক্তব্য প্রদান করেন এবং তিনি ভোলা জেলার সকলের সুখে দুঃখে পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মনজুর হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন, প্রেসক্লাবের সভাপতি সোহেল আজিজ শাহীনসহ বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা।