বাঁধ ভাঙার আশংকায় তজুমদ্দিনবাসী
নাদিয়া হাওলাদার মিষ্টিঃ
ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলার প্রায় ৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের বিশাল একটি অংশ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। উজানের পানির চাপ, প্রবল বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধির কারণে চাঁদপুর ইউনিয়নের দড়িচাঁদপুর, কেয়ামূল্যাহ, কা নপুর, গুরিন্দা, চাঁচড়া ও কাটাখালী এলাকায় বেড়িবাঁধের বিভিন্ন অংশে ভাঙন ধরেছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে উপজেলার দেড় লক্ষ মানুষের। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শহর রক্ষা বাঁধের জন্য নিয়োগ করা ঠিকাদারের গাফিলতিতে যে কোন মুহুর্তে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ডুকে পড়বে পানি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে প্লাবিত হতে পারে পুরো উপজেলা।
বর্ষাকালের মুষলধারে বৃষ্টি, মেঘনা নদীর জোয়ার-ভাটায় পানির চাপ ও নিন্মচাপের প্রভাবে ঢেউ এসে আঘাত করে বেড়িবাঁধে। ফলে অধিকাংশ এলাকায় বেড়িবাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে পানি ডুকার আশংকা দেখা দিয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ সুত্র জানায়, তজুমদ্দিনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬কিলোমিটার শহররক্ষা বাঁধ এবং তীর সংরক্ষণে ব্লক ও জিও ব্যাগ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলার সোনাপুর অংশে দুই কিলোমিটার ও চাঁদপুর-চাঁচড়া অংশের ৬ কিলোমিটারসহ বেতুয়া পর্যন্ত মোট ২৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, জিও ব্যাগ, ব্লক, ড্যাম্পিং, সুইজগেট ও রাস্তা পাকা করণের প্রকল্পে প্রায় ১১শত কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়ে কাজ শুরু হয়।
বসবাস কারী জনগণের নিদ্রাহরণের একমাত্র হুমকি এখন এই বাঁধটি,স্থানীয় প্রশাসন দায়িত্ব না নিলে হতে পারে ভয়াবহ বন্যা।