দৌলতখানে বৈষম্য মুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে সংখ্যালঘুদের সাথে বিএনপি’র সভা
রিয়াজ মাহমুদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ স্বৈরাচারী হাসিনার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হয়েছে, হাসিনার পতনের পরবর্তী সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পূর্ববর্তী সময়ে দেশের মধ্যে কিছু দুষ্কৃতিকারীর আবির্ভাব লক্ষ্য করা যায়, এই সমস্ত দুষ্কৃতিকারীদের রুখতে এবং সমাজের সংখ্যালঘু ও অসহায় জনগনের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বিএনপি বা অন্য কোন রাজনৈতিক দলকে যেন কেউ দোষারোপ করতে না পারে তাই কেন্দ্রীয় ভাবে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দৌলতখান – বোরহানউদ্দিন’র সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশ দেন যে কোন ভাবেই যেন দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয় এবং এলাকায় প্রতিটি জনগণের জান-মাল রক্ষা করতে পুলিশ বাহিনীর অনুপস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের দিয়ে নজরদারি রাখা ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। কোনো ভাবেই যেন একজন ব্যক্তি পরিবার বা প্রতিষ্ঠান নয় না হয়, যদি নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি হয় তাহলে ক্ষতিগ্রস্থের ক্ষতি পূরণ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের করতে হবে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা বিষয়ে একটি তিন সদস্যের কমিটি করে তাদের ফোন নাম্বার প্রতিটি মন্দির ও মহল্লায় দেওয়া হয়।
দৌলতখান উপজেলার কেন্দ্রীয় মন্দির “শ্রী শ্রী ঠাকুর মদন মোহন বাউজী’র” প্রধান উপদেষ্টা অশীত রঞ্জন দাস সহ কিছু উপদেষ্টা মন্দিরের সভাপতি কালিদাস পাল ভুলু, সাধারন সম্পাদক সুমন সিং কিছু ব্রাম্মন/ঠাকুর ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়, একই পৌর মন্দির “সুকদেব মদন মোহন মন্দির’র” উপদেষ্টা মন্দিরের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক, ব্রাম্মন/ঠাকুর ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন, একই ভাবে অন্যান্য মন্দির গুলোতে ও সভা করে সকলকে অভয় দেয়া হয়। এতে করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে তাৎক্ষণিক একটা প্রান চাঞ্চল্য প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
উক্ত সভাগুলোতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র নেতা ফারুক হোসেন, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আলাউদ্দিন সরদার, পৌর বিএনপি’র আনোয়ার হোসেন কাঁকন, কামাল কাজী ও হাজী আকবর মিয়া সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়াও বিএনপি’র আবুল হোসেন, আবদুল কাদের কমিশনার, মোঃ জহির খান সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এখন থেকেই আমাদের আগামীর বাংলাদেশ বৈষম্য মুক্ত হবে বলে সকলের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।