ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:০৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

ভোলার মধ্য বাপ্তায় আবুল বশারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো বাড়ির মানুষ

 

মোঃ ইলিয়াছ চৌধূরী ঃ

 

ভোলা সদর উপজেলার মধ্য বাপ্তা ইউনিয়নের আব্দুর রব মিকার বাড়িতে আবুল বশার (৪৫) এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো বাড়ির মানুষ। কিছুদিন পর পর বাড়ির লোকদের মারধর করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কেউ প্রতিবাদও করতে পারেন না। প্রতিবাদ করলেই হতে হয় হামলার শিকার কিংবা খেতে হয় মামলা। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরো বাড়ির মানুষ।

 

৪৫ বছর বয়সী এ ব্যক্তি একই বাড়ির বাসিন্দা মৃত রাজা মিয়ার ছেলে। তার এই অন্যায় কাজে সকল রকমের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন তার ভাই মোশারেফ (৪০)। তার হুমকিতে এখন বাড়িতে আসতেও ভয় পাচ্ছেন অনেকে।

 

আবুল বশার এর নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার ওই বাড়ির প্রায় তিন-চারটি পরিবার। এসব পরিবারের লোকজন কোনো উপায় না পেয়ে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।

 

ভুক্তভোগী রিপন অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার (২৭) দুপুর ১২টার দিকে আমাদের বাড়ির উঠানে আমার বোনের মেয়ে উম্মে হাবিবা (৩) খেলা করতে ছিল। অভিযুক্ত আবুল বশার হঠাৎ করে বাড়িতে এসে আমার বোনের মেয়েকে গালিগালাজ শুরু করে। গালিগালাজ করেই সে ক্ষ্যান্ত হয়নি এই ছোট্ট শিশুটিকে সে লাথি মারে। অল্পের জন্য আমার ভাগ্নি বেঁচে যায়। বাড়িতে আবুল বাশারের অত্যাচারে মোঃ আজাদ দীর্ঘ ৪ বছর ধরে তার ঘরের প্রধান দরজাটি ব্যবহার করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে সে প্রধান দরজাটি বন্ধ করে দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

 

ঐ বাড়ীর বাসিন্দা নাসিমা বেগম (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, উনি যে কেন এরকম করে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। আবুল বশার কিছুদিন পরপর এ ধরনের নেক্কারজনক ঘটনা ঘটায়। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর পর এর বিচার না করে উল্টো বশারের ভাই মোশারেফ বশারকে আরো উসকে দিয়ে বশার কে অর্ডার দিয়ে বলে গালিগালাজ না করে পেটের ভিতর চুরি ঢুকাইয়া মেরে ফেলবি, যত টাকা লাগে আমি বুঝবো।

 

একই বাড়ির বাসিন্দা মোঃ কামাল শিকদার বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আবুল বশার আমার ভাবী অজুফা বেগমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। তার কিছুদিন পর আমার স্ত্রী চম্পা বেগমকে ও কোন কারণ ছাড়াই মারধর করে জখম করেন।

 

উল্লেখ্য অজুফা বেগমকে মারধর করার পর গত নভেম্বর মাসে বাপ্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর সু-বিচার পাওয়ার জন্য একটি দরখাস্ত করেন ভুক্তভোগী অজুফা বেগম। অভিযোগের পর তার এই অত্যাচার বন্ধ থাকলেও কিছুদিন পরেই আবারো একই অত্যাচার শুরু করে দেয়। ভুক্তভোগী রিপন বলেন, তার ভাই মোশারেফ অনেক টাকার মালিক, মোশারেফ এর টাকার গরমে আবুল বশার বাড়িতে সকলের সাথে এই ধরনের নেক্কারজনক কাজ করে চলছে । আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু তদন্ত করে সঠিক বিচারের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

 

ঐ বাড়ির বাসিন্দা সবুজ অভিযোগ করে বলেন, আবুল বাশারের হাত থেকে বাড়ির কোনো মানুষ রেহাই পাননি। কথায় কথায় দা-লাঠি নিয়ে মারতে চলে আসে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথাও বলতে ও ভয় পান। তার নির্যাতনে আব্দুল হক মিকার বাড়ির মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার কাছে এক প্রকার জিম্মি সবাই।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল বশার নিজেকে মানসিক অসুস্থ দাবি করে বলেন, আজকে আমি শিশুটিকে লাথি মারে নি গালিগালাজ করেছি। আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা‌।