ভোলা-বরিশাল সেতুর দাবীতে বিক্ষোভ, ইউএনও-ওসি অবরুদ্ধ, বিদ্যুৎ অফিসে তালা।

ভোলার কথা
ভোলা প্রতিনিধি সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৫

ভোলা প্রতিনিধিঃ

ভোলা-বরিশাল সেতু বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে ভোলায় টানা ১৯দিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচী পালন করছে ছাত্র-জনতা। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার (০১ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী জেলার ছয় উপজেলায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। একই দাবীতে সন্ধ্যায় জেলার বোরহানউদ্দন ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসিসহ অর্ধশতাধিক কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে তালা ধুলিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে।

আন্দালকারীদের সমন্বয়কারি মীর মোশারেফ অমি বলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। পরবর্তিতে জেলার উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয় ঘেরাও হবে।

এদিকে আন্দোলনের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাধারণ শ্রমিকসহ ভিতরে অবস্থানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সরেজিমন গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান গেইটসহ পকেট গেইটে লোহার শেকল দিয়ে বড় বড় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বিক্ষাভকারীরা।

এরআগে দুপুর থেকে ভোলা-বরিশাল সেতু, আবাসিক গ্যাস সংযোগ ও মেডিকেল কলেজসহ ৫ দফা দাবিতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২২৫ মেঘাওয়াট উৎপাদনক্ষম বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করে আন্দোলন করছেন স্থানীয়রা।

সোমবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে লংমার্চ করে আন্দোলনকারীরা বোরহানউদ্দিন সরকারি কলেজ মাঠে জমায়েত হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরে ওই উপজেলার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ প্লান্ট ঘেরাও করতে এক জোটে রওনা হয়। প্লান্টের মুখে পুলিশ, র‌্যাব, নৌ-বাহিনী, কোষ্টগার্ড আন্দোলনকারীদের প্রবেশে বাঁধা দিলে ওইখানেই বিক্ষোভ করতে থাকে কয়েক হাজার ছাত্র-জনতা।

অবরুদ্ধের ব্যাপারে জানতে চাইলে বোরহানউদ্দিন উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনজিৎ চন্দ্র দাস জানান, প্রথমে অবরুদ্ধ করে রাখলেও পরবর্তীতে তারা বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। তবে সরকারি সম্পদ রক্ষায় প্রশাসনের অবস্থান ছিলো। আন্দোলনকারীদের দাবীগুলো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

গত ১১ নভেম্বর লং মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচী দিয়ে এ আন্দোলনন শুরু করে ছাত্র-জনতা।