যুবদল নেতার ওপর হামলা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার:
লালমোহন উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল সিপাহী এবং তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় যুবদলের ওই নেতাকে বাঁচাতে গিয়ে ৩ জন আহত হন। আহতরা হলেন- বিএনপিকর্মী আক্তার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রাসেল এবং দেলোয়ার। যুবদল নেতা রাসেলসহ তাদের উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে আক্তার হোসেনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। শনিবার রাতে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পেশকার হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত যুবদল নেতা রাসেল সিপাহী অভিযোগ করে জানান, শনিবার রাতে আমি সিপাহী জুয়েলার্স নামের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসেছিলাম। তখন হঠাৎ করে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ রেজার নেতৃত্বে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বাচ্চু, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব, ছাত্রলীগকর্মী মামুন, মেহেদী, রিফাত, পারভেজ, সুমন, রুবেল, ইলিয়াছ, রিয়াজ, সুমন এবং কবিরসহ অন্তত ৩০ থেকে ৪০ জন মিলে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার জুয়েলার্সের দোকান থেকে ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং দোকানেও ভাঙচুর করেন। এছাড়াও তারা পাশের কাউসার স্টোর নামে আরেকটি দোকানেও হামলা চালিয়ে ক্যাশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে ঐক্যবদ্ধভাবে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় পরবর্তীতে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় তারা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ রেজা হামলা ও লুটপাটের ঘটনা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।