স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেন মশার কারখানা

ভোলার কথা
বিশেষ প্রতিনিধি সম্পাদক
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ যেন মশার বংশবিস্তারের কারখানায় পরিণত হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে বেড়েছে মশার উৎপাত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন খালি জায়গা এবং সরকারি বাসভবনের আশেপাশে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমে রয়েছে। ওই পানি পচে এখন দুর্গন্ধ ছড়ানোর পাশাপাশি সেখান থেকে মশার বংশবিস্তার হচ্ছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে অনেকাংশে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় মশার উপদ্রবও বেড়েছে অনেক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে সুস্থতার জন্য। অথচ এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে সেখান থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এসব পচা পানিতে খুব সহজেই এডিস মশার উৎপত্তি হতে পারে। এখন যেহেতু দেশজুড়ে ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে, তাই এখান থেকেও এডিস মশার উৎপত্তি হয়ে যে কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমাদের মনে হচ্ছে এখানে এক রোগের সুস্থতার জন্য এসে আরেক রোগে আক্রান্ত হতে হবে। তাই রোগীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে জমে থাকা এসব পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

অপরদিকে, এই জমে থাকা পানিতে চরম বেকায়দায় রয়েছেন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসভবনে থাকা চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা এবং স্টাফরা।

সরকারি বাসভবনে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্টাফ এবং কর্মকর্তা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে থাকে। এসব পানিতে হাঁস ভেসে বেড়ায়। আবার বহুদিন হয়ে গেলে পানিগুলো পচে যায়। যার ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসভবন এলাকায় মশার উপদ্রব বাড়ছে। এই পচা পানিতে এডিস মশা উৎপত্তিরও সম্ভাবনা অনেক। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসভবনগুলোতে থাকা সকলেই মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই পানি অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করছি।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা অপ্রতুল। যার জন্যই বৃষ্টি হলে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।