ছেলে সন্তানের বাবা হলেন শহীদ শাজাহান

স্টাফ রিপোর্টারঃ
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে নিহত শহীদ শাজাহান এর নবজাতক ছেলের জীবন গঠনে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। শহীদ শাজাহান তার ছেলের মুখ দেখে যেতে না পারলেও দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই তার সন্তান ও পরিবারের পাশে ভোলার জেলা প্রশাসন তথা সরকার সর্বদাই আছে এবং থাকবে। কথাগুলো বলছিলেন ভোলার জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোলা সদরের একটি ক্লিনিকে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় জন্মগ্রহণকরা শহীদ শাজাহানের সদ্যজাত ছেলে সন্তান ‘ওমর ফারুক’ কে দেখতে গিয়ে কথাগুলো বলছিলেন ডিসি আজাদ জাহান। এসময় তিনি নবজাতক শিশুটিকে কোলে তুলে নেন এবং তার মা ও শিশুটির জন্য শীতের পোশাক, ফল, মিষ্টি ও নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ক্লিনিকের সকল ব্যয় বহনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি আন্তরিকতার সহিত শহীদ শাজাহান এর মা বিবি আয়শাসহ পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নেন এবং তাদের ভালোমন্দ সবসময় ডিসিকে জানাতে বলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ শাজাহানের স্ত্রী ও শিশুটির মা ফাতেহা (২০) বলেন, আমার স্বামী শাজাহান দেশের জন্য লড়াই করতে গিয়ে নিজের অনাগত সন্তানের মুখ না দেখেই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। তাই আমার ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। কারণ বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোল তথা গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ চলাকালে গত ১৬ জুলাই ঢাকার সাইন্সল্যাবের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আমার স্বামী শাজাহান।
উল্লেখ্য, ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার ধলিনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইমান আলীর ছেলে শাজাহান ছিলেন ঢাকার বলাকা টাওয়ারের সামনের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। মারা যাওয়ার সময় তার স্ত্রী ফাতেহা প্রায় ৪ মাসের অন্তঃসত্বা ছিলেন এবং মেডিক্যাল রিপোর্টে ছেলে সন্তান আসার খবর শুনে অনাগত ছেলের নাম ওমর ফারুক রাখার জন্য তার স্ত্রীকে বলে গিয়েছেন বলে জানান তার স্ত্রী ফাতেহা। ভোলার সমন্বয়ক আরিফ চৌধুরী এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিশুটিকে ডিসি পরিদর্শন করার সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত এনডিসি যায়েদ হোছাইন এবং সমন্বয়ক আব্দুর রাহিমসহ বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলোন।