চরফ্যাসনে এ্যাগ্রো-ফার্মে দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর-লুটতরাজ

ভোলার কথা
চরফ্যাশন প্রতিনিধি সম্পাদক
প্রকাশিত: ৬:৫২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৫

চরফ্যাসন প্রতিনিধিঃ

ভোলার চরফ্যাসনে ২০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ক্ষুদ্ধ দুর্বৃত্তরা একটি এ্যাগ্রো-ফার্মে দফায় দফায় হামলা ভাংচুর এবং লুটতরাজের ঘটনা ঘটিয়েছে।দুর্বৃত্তদের সিরিজ হামলায় ও হুমকি ধামকিতে এ্যাগ্রো-ফার্মের মালিকপক্ষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পরেছে। ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পালাবদলের পর আবদুল্লাহপুরের ৪ নং ওয়ার্ডে নির্মানাধীন এ্যাগ্রো-ফার্মটি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একদল বর্হিরাগত দুর্বৃত্তের টার্গেটে পরিনত হয়েছে। সংঘবদ্ধ এই দুর্বৃত্তরা গতকাল শনিবার রাতে এ্যাগ্রো-ফার্মে হানা দিয়ে চাঁদা পরিশোধের তাগিদ দিয়েছে এবং চাঁদা পরিশোধ না করে কার্যক্রম চলমান রাখলে জীবননাশের হুমকী দেন। এতে দুর্বৃত্তদেও বকল থেকে ফার্মটি রক্ষা করা নিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন মালিকপক্ষ।

জানা যায়, প্যারাকমান্ডো সার্জেন্ট নজরুল ইসলাম এবং তার দুই ভাই কামরুল হাসান ও মনিরুজ্জামান আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সাড়ে ৮একর জমি ক্রয় করেন। বন্দোবস্তসূত্রে মালিক জনৈক আবদুল অদুদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান থেকে সাব কাবলা দলিলমূলে ২০২৩ সনে ওই জমি ক্রয় করে ‘ঢালী এ্যাগ্রো-ফার্ম’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় ও বর্হিরাগত কিছু দুর্বৃত্ত এ্যাগ্রো-ফার্মের নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন এবং মালিকপক্ষের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। দুর্বৃত্তদের এই দাবী মেনে নিতে অস্বীকার করায় নির্মাণাধীন এ্যাগ্রো-ফার্মে কয়েক দফায় হামলা ভাংচুর এবং লুটতরাজের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মালিকপক্ষ।

জমির ক্রেতা ও এ্যাগ্রো-ফার্মের মালিক চরফ্যাসন থানার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের আবুল বসার ঢালীর ছেলে প্যারা কমান্ডো সার্জেন্ট মো. নজরুল ইসলাম ও কামরুল হাসান লিখিত অভিযোগে জানান, ৫ আগস্টের পর থেকে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন ও বর্হিরাগত ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা আমাদের নিকট ২০ লাখ টাকা চাদা দাবী করে আসছে। চাঁদা না দিলে নির্মাণাধীন ‘ঢালী এ্যাগ্রো-ফার্ম জবর দখরের হুমকী দেন। হুমকীতে কাজ না হলে দুর্বৃত্তরা গত ২৩ ও ২৬ নভেম্বর আমাদের আবদুল্লাহপুর ৪ নং ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন ঢালী এ্যাগ্রোÑফার্মে দফায় দফায় হামলা ও লুটতরাজ করে। নিয়ে যায় কাটা তার, ৪টি মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, ডিজেলের ব্যারেল এবং মোটরসাইকেল। এসময় হামলাকারীরা বাড়িতে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ৫টি ভেকু ভাংচুর করে চাবি নেয়ে যায়। কুপিয়ে ও পিটিয়ে মহিলাসহ ৬ জনকে আহত করে।

নজরুল ইসলামের বড়ভাই কামরুল হাসান জানান, দুর্বৃত্তরা দফায় দফায় হামলা ও চাঁদারদাবীতে অব্যহত হুমকিতে থেমে থাকেনি ওই চক্র। ফের শনিবার দিবাগত রাতেও এ্যাগ্রো-ফার্মে এসে দাবীকৃত ২০ লাখ টাকা পরিশোধের তাগিদসহ হুমকী দেন এবং টাকা পরিশোধ না করলে ফার্ম দখলে প্রয়োজনে হত্যা করতে তারা দ্বির্ধা করবে না। এমন হুমকীর পর ফার্মের মালিকপক্ষ নিরাপত্তাহীন হয়ে পরেছে ।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জাকির হোসেন জানান, চাঁদাদাবীর বিষয় সঠিক নয়। ওই জমি নিয়ে ঢালী পরিবারের সাথে আমার বিরোধ চলমান রয়েছে।

চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।