লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা বাধা দেয়ায় হামলা ও লুটপাট

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০২১

 

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহনে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা বাধা দেয়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় দোকানপাটে লুটপাট চালিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যাওয়া হয়। এতে আহত হয় অন্তত ৫ জন। আহতদের লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের আনিছল মিয়ারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আনিছল মিয়ারহাট এলাকার জাকিরের জমি জোরপূর্বকভাবে দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার প্রভাবশালী সালাউদ্দিন কাঞ্চন ডাক্তারের পরিবার দখল করে দোকান ঘর নিমার্ণের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় জাকির থানায় কয়েকবার অভিযোগ দিয়েছে। এরপর ফয়সালার জন্য কাঞ্চন ডাক্তাররের পরিবারকে থানায় যেতে বললেও তারা নানা অজুহাতে উপস্থিত হয়নি। থানায় উপস্থিত না হয়ে কোনো ফয়সালা না করেই বারবার ওই জমি দখলের চেষ্টা অব্যাহত রাখে তারা।
জাকির অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে পরিকল্পিভাবে জমি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণের জন্য প্রায় এক-দেড় শত লোক নিয়ে কাজ শুরু করেন সালাউদ্দিন কাঞ্চন ডাক্তারের ছেলে মামুনের নেতৃত্বে মাকুসদ, মঞ্জু, নূরুল আমিন ও মফিজুল ইসলাম । এসময় ঘটনার ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শামিম আহমেদকে জানালে সে থানার ওসির সাথে কথা বলে পুলিশ না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেন। এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে কাঞ্চন ডাক্তারের ছেলে মামুনের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ওই ইউপি সদস্য শামিমের ওপর হামলা চালায়। এসময় তাকে উদ্ধার করতে এসে আহত হন নারীসহ বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরা হলেন, সুমন, হাচনাইন, রায়হান, নিহান ও ইয়ানূর বেগম।
জাকির আরও বলেন, ওই ঘটনার পরে কাঞ্চন ডাক্তারের ছেলে মামুন ও তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালায়। এসময় দোকানে থাকা নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যায় তারা।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য শামিম আহমেদ জানান, জাকির আমাকে বিষয়টি জানানোর পরে আমি ওসির সাথে কথা বলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ না আসা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলি। তবে তারা কথা না শুনে অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা চালায়। খোজঁ নিয়ে জানতে পারি ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদের ইন্ধনে আমার ওপর এ হামলা চালানো হয়।
ফরাজগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন মুরাদ বলেন, এ ঘটনায় আমার কোনো ইন্ধন নেই। শামিম ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হয়েও ৬ নং ওয়ার্ডে গিয়ে অসৎ উদ্দ্যেশে কাঞ্চন ডাক্তারের নিজ মালিকানাধীন জমিতে ঘর নিমার্ণে বাধা দেয়।
অভিযুক্ত কাঞ্চনের ছেলে মামুন বলেন, তাদের দলিলের কোনো ভিত্তি নেই। আমাদের জমিতে আমরা দোকান ঘর নির্মাণ করি। এসময় উল্টো তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এব্যাপারে লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, এর আগে দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়ে সেখানের কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ফয়সালা করে যার কাগজপত্র ঠিক রয়েছে সে কাজ করবে। ফয়সালার জন্য জাকিরের পক্ষ থানায় আসলেও কাঞ্চন ডাক্তারের পরিবারের পক্ষে কেউ না আসায় ঘটনার মিমাংশ করা সম্ভব হয়নি। আজ কাঞ্চন ডাক্তারের পরিবারের লোকজন হঠাৎ করে ওই জমিতে দোকান ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।