লালমোহনে মা-মেয়েকে অগ্নিদগ্ধ করার ঘটনায় দায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

 

লালমোহন প্রতিনিধি :

ভোলার লালমোহনে গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিবুল্যাহর বাড়িতে পেট্রল নিক্ষেপ করে তার কন্যা কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে অগ্নিদগ্ধ করার ঘটনায় বখাটে সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন সুমনের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করা হয়েছে।

(২৩ আগস্ট) সকাল ১১টায় গজারিয়া বাজারে পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এই প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানব বন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি শাহিন মাতাব্বর, লালমোহন উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী হেলাল প্রমূখ।

এসময় বক্তারা বলেন, মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক হয়। নানাবিধ কারণে সে সম্পর্কে ভাঙাগড়া হতে পারে। তাই বলে এভাবে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নৃশংসতা কোনও সভ্য সমাজের কাজ হতে পারেনা। তাই কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা ও তার মাকে অগ্নিদগ্ধকারী অভিযুক্ত মহিউদ্দিন সুমনসহ দায়ীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকগণ অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (২১ আগস্ট) রাতে গজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মহিবউল্যার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা রাতে রান্না করার সময় মহিউদ্দিন সুমন পলিথিনে করে পেট্রোল নিক্ষেপ করলে তা চুলায় পড়ে আগুন ধরে যায়। আগুনে প্রথমে জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা, পরে তার চিৎকারে তাকে রক্ষা করতে এসে তার মা গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন। অভিযুক্ত মহিউদ্দিন সুমন দীর্ঘ দিন ধরে জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমা তা প্রত্যাখান করেন। (২১ আগস্ট) শনিবার জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমাকে দেখতে পাত্র পক্ষ বাড়িতে আসে, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিউদ্দিন সুমন পেট্রোল নিক্ষেপ করে জান্নাতুল ফেরদৌস নাঈমার গায়ে।