ভোলার মেঘনায় নতুন দস্যুদের আতঙ্কে জেলেরা দিশেহারা।। রাজাপুর থেকে কলকাঠির অভিযোগ।।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

ইয়ামিন হোসেন।

রাজাপুর থেকে তৈরি হচ্ছে মেঘনার নতুন নতুন ডাকাত বাহিনীর দল। রাজাপুরের প্রভাবশালী একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে দস্যুদের নিয়ন্ত্রণ করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানাস জেলেরা।

দস্যুদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই
মেঘনার কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত দল।
তবে মেঘনায় এসব ঘটনার খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে মেঘনার মৎসজীবি জেলেদের অভিমত। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার পাবেন না এ আশংকা বা পুলিশি হয়রানির ভয়ে থানায় অভিযোগও দেন না তারা।

ফলে ডাকাত দল পার পেয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। নৌ পুলিশের নজরদারির অভাব আর, কোষ্টগাড বাহিনীর রাত্রিকালীন টহল না থাকার কারণে মেঘনার ডাকাতি ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ সাধারণ জেলেদের ।

সংঘবদ্ধ ডাকাত দল নানা কৌশলে তাদের নিজেদের নৌকায় জাল নিয়ে জালের আড়ালে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মেঘনায় ডাকাতি করে যাচ্ছে।
আর এসব ডাকাতদের শেল্টার দিচ্ছেন রাজাপুরের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি বলে জানা গেছে।
এদিকে গত ৯ফেব্রুয়ারী ভোলা সদর থানার এস আই ইমাম হোসেন সরেজমিন রাজাপুরের ৬ ওয়ার্ডের শাজাহান কবিরাজের পুত্র কবির কবিরাজের বসত ঘরে মেঘনায় ডাকাতি করে আনা বিপুল পরিমানের কারেন্ট জাল জব্দকরেন। জব্দকৃত জালগুলো একই এলাকার বাসিন্দা মাইনউদ্দীন দালালের জিম্মায় রেখে যান। তবে জাল জব্দকালিন সময়ে পুলিশ ডাকাত দলের কাউকে আটক করতে পারেনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কেটে পরেন ডাকাত সদস্য কবিরে ভাই আলাউদ্দীন এমনটি জানান স্থানীয়রা। তবে আলাউদ্দীন মুঠোফেনে কলকাঠি নাড়ানো সহ কর্তাবাবু ও তার সাথে কাজ করা লোকদের চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেন। আলাউদ্দীন বলেন কর্তাবাবুদের ম্যানেজ পেমেন্ট করেই তারা চালান মেঘনার ডাকাতিযজ্ঞ।এদিকে আলাউদ্দীন ডাকাতি করা জাল ক্রয় করে রেখেছেন এবং মেশিন ক্রয় করে আবার তা ফেরৎ দিয়েছেন মর্মে জানান।আলাউদ্দীন আরো জানান আমরা করেছি বলে দোষ? মেঘনায় ডাকাতের রাজাপুরের আরো একটি গ্রুপ আছে তা তো কেউ জানেনা এবং কিছুই বলেনা।
এই বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজান খাঁন বলেন, আমার পরিষদে জাল ছিলো সেখান থেকে পুলিশে নিয়ে গেছে বলে জানান।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, জাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

পাঠক আমাদের সাথে থাকুন আগামি পর্বে আমরা প্রকাশ করবো ম্যানেজ কর্তা বাবুদের পরিচয়।