মনপুরায় হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম হাওলাদারকে বিতর্কিত করার চেষ্টা,প্রতিবাদে থানায় জিডি।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২৩

 

মনপুরা প্রতিনিধিঃ

মনপুরা উপজেলায় ২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ছকিনা নামক এক নারীকে কথিত মরধরের অভিযোগ স্যোসাল মিডিয়া উঠে আসেছে।

তবে বিষয়টি মিথ্যাচার ও সাজানো নাটক জানিয়ে মনপুরা ২নং হাজির হাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার মনপুরা থানায় একটি সাধারন ডাইরি করেন। মনপুরা থানার ওই সাধারণ ডায়েরি সূত্রে দেখা যায়, ছকিনা (৪০) নামক এক নারী নিজাম চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষদের দ্বারা প্রভাবিত হইয়া চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদারকে নিয়ে ফেসবুক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নারীকে মারধর করেছেন মর্মে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। অভিযোগে আরো তুলে ধরা হয় চেয়ারম্যান নিজামের প্রতিপক্ষ লোকজন তাহার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য নানাভাবে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

মূলত মনপুরা ২নং হাজির হাট ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হওয়া পর থেকেই একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে সাধারন ডায়রীতে অভিযোগ করা হয়।।

অভিযোগকারী ছকিনা (৪০) বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। মুঠোফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে ছকিনা (৪০) বলে আপনারা হাসপাতালে আসেন এবং সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন।

কথিত মারধরের বিষয়ে চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ছকিনা (৪০)নামক নারীকে মারধরের বিষয়টি সম্পূর্ণ নাটক, ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার। আমি বিষয়টির তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চেয়ারম্যান নিজাম আরো জানান এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রস্তুত। আমি মনপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছি।

চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটির প্রকৃত বৃত্তান্তটি হলো, ছবিতে উল্লেখিত এই মহিলা সহ আরো ৫ জন মহিলা আমার বাসার পশ্চিম এর ঘেরের পাড়ের গাছ থেকে সকল আম ছিরে নিচে ফেলে দেয়, কিছু আম চুরি করে নিয়ে যায়। উক্ত আম চুরি ও ছিরে ফেলে দিয়ে আসার বিষয়ে আমি পরিষদে এসে, মহিলা ইউপি সদস্য, পুরুষ ইউপি সদস্য, আরো গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আম চুরির বিষয় টি বললে, সকলে ৫ জন মহিলাকে উপস্থিত করার জন্য বলে, চৌকিদার কাদের আম চুরি করা ৫ জন মহিলাকে, ডেকে পরিষদে নিয়ে আসে, উপস্থিত পুরুষ ইউপি সদস্য, এবং মহিলা ইউপি সদস্য সহ আরো গন্যমান্য ব্যক্তি আবু মেম্বার, আব্দুরব মাঝি , মোঃ শাহাবুদ্দিন সহ আরো অনেকে চুরির বিষয়টি নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা সত্যতা স্বীকার করে, এবং এরুপ কাজ আর কখনো করবেনা বলে অঙ্গীকার করলে সকলের উপস্থিতিতে তাদের পরিষদ থেকে বিদায় করে দেয়।