ভোলায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে নিহত-১, পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক আহত, আটক-৬ পুলিশ ও বিএনপির পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২২

মিলি সিকদারঃ

ভোলায় পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে নিহত-১, পুলিশসহ অর্ধ শতাধিক আহত, আটক-৬ পুলিশ ও বিএনপির পাল্টা পাল্টি সংবাদ সম্মেলন।

আজ সকালে ভোলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোড শেডিং এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ভোলা জেলা বিএনপি। এসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম নিহত হয়। নিহত আবদুর রহিম ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের হারেছ মাতাব্বরের ছেলে।


এ ঘটনায় ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়াগেছে। এদের মধ্যথেকে ৩জনকে অশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশার শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে এ ঘটনায় ৬জনকে আটক করা হয়েছে এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চললেছ।
এর প্রতিবাদে পুলিশকে দায়ি করে আজ দুপুরে ভোলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেণ জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। অন্যদিকে আজ বিকেলে পুলিশ কর্তৃক নিহতের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন, ভোলা জলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ভোলা জেলা বিএনপি তাদের কালিনাথরায়ের বাজার জেলা কার্যালয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় পুলিশ অতর্কিত ভাবে তাদের সমাবেশে লাঠিচার্জ করে। পরে বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রতিরোধ করলে, পুলিশ তাদেরকে লক্ষ করে গুলিছুড়ে। এতে ঘটনা স্থলে অবদুর রহিম নিহত হয়।

অন্যদিকে পুলিশ বিএনপির শতাধিক নোতা কর্মীকে গুলি করে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
অন্যদিকে এক এ অভিযোগ অস্বীকার করে আজ বিকেলে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে ভোলা জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলা জানান, প্রশাসনের অনুমোতি না নিয়ে ভোলা জেলা বিএনপি আজ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। অন্যদিকে তারা অনুমোতি বিহীন একটি মিছেল বেড় করে সানের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে। এসময় বিএনপি নেতা কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫৩ রাাউন্ড সটগানের গুলি ও ৩০ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। তবে নিহতে অবদুর রহিম পুলিশের গুলিতে মারা যায়নি। সম্ভবত সে বিএনপির নিক্ষিপ্ত ইটে অঘাতপ্রপ্ত হয়ে মারা যেতে পারে। তবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে এ হত্যার অসল রহস্য খুজে পাওযা যাবে।
এঘটনায় বর্তমানে শহরে অতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।