ভোলায় হাতেম আলীর মুক্তিযুদ্ধা  সার্টিফিকেট  জালিয়াতি করে গেজেট হওয়া স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২১

ভোলায় হাতেম আলীর মুক্তিযুদ্ধা  সার্টিফিকেট  জালিয়াতি করে গেজেট হওয়া স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন।

ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী খালাসীর পরিবর্তে যুক্তিযোদ্ধা তার ভাগ্নে রুহুল আমিন কাজীর বিরুদ্ধে গ্রেজেডভুক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার সকালে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেনে এমন অভিযোগ তুলে ধরে রুহুল আমিন কাজির গ্রেজেড বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মৃত হাতেম আলীকে গ্রেজড ভুক্ত করার দাবি জানান স্ত্রী অজুফা খাতুন।

লিখিত অভিযোগে অজুফা খাতুন জানান, তার স্বামী মহান মুক্তিযুদ্ধের কালীন সময়ে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বক্সে আলী ব্রীজ তুলে ফেলা,বাংলাবাজার যুদ্ধ,ঘুইংঘারহাট যুদ্ধ ও দেউলার যুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেয়। দৌলতখানের সাবে উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল চৌধুরীর পিতা খোরশেদ আলম চৌধুরীরর সঙ্গে হাতেম আলী মুক্তিযুদ্ধে ক্যাম্প পরিচালনা করতেন। তাদের বাড়ি দৌলতখান উপজেলার চরখলিফা এলাকার কলাকোপা এলাকায়। বাড়ি সংলগ্ন ক্যাম্পে ফারুক কমান্ডারের নেতৃত্বে ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তার স্বামী ছিলেন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। ওই ক্যাম্পে রান্না করা , মসল্লাবাটার কাজও করতেন অজুফা বেগম। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরিবর্তী সময়ে হাতেম আলীকে গ্রেজডভুক্ত করার কথা বলে ভাগ্নে দৌলতখানের চরপাতার বাসীন্দা রুহুল আমিন কাজী মামা হাতেম আলীর সকল প্রমানপত্র হাতিয়ে নেন। রুহুল আমিন কাজি মুক্তিযুদ্ধে কোন প্রকার সম্পৃক্ত না থেকেও পরবর্তিতে হাতেম আলীর কাগপত্র জাল করে নিজেই মুক্তিযোদ্ধার গ্রেজটভুক্ত হন। তিনি বর্তমানে ভোলা সদরের ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে বসবাস করেন। মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা নিয়ে তার ৩ ছেলেকে সরকারি চাকুরি দেন।

অজুফা বেগম জানান, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই জন্য আবেদন করলেও তার সুফল এখনও পান নি। এ ছাড়া ২০০৫ সালের ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় ও মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের যাচাই বাছাই তালিকায় ৩২ নম্বরে হাতেম আলীর নাম ছিল। দীর্ঘ ৭ / ৮ বছর অসুস্থ্য থাকার পর ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি হাতেম আলী মারা যান। অসহায় পরিবারটি রুহুল আমিন কাজির গ্রেজেড বাতিল করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা মৃত হাতেম আলীকে গ্রেজড ভুক্ত করার দাবি জানান।

এদিকে অসহায় এই পরিবারটি আজ সংবাদ সম্মেলনের পর জেলা প্রশাসক বরাবর বিচার চেয়ে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিক ই লাহী চৌধুরী বিষয়টির তদন্ত করার নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।