রাজাপুরে রোজা রেখে কৃষকের জমির ধান কাটলেন ছাত্রলীগ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২১

 

মোঃ সোহেল, ভোলা।।
বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত দেশের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে বোরো ধানের জুড়ি নেই। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কড়াল গ্রাসে দেশ আজ অবরুদ্ধ থাকায় শ্রমিক সংকটে কৃষকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ধান কাটার মজুর না পাওয়ায় বিপাকে আছে কৃষকেরা।

এমতাবস্থায়, ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ – এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন সোনার ফসল ফলানো কৃষকের ক্রান্তিকালে তাদের পাশে দাঁড়াতে।

তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় এবং রাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান খাঁনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ভোলা সদর উপজেলা ১নং রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একঝাঁক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইমাম হোসেন, ফজলে রাব্বি ও তামিমের নেতৃত্বে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দিয়েছে।

শনিবার ( ১ মে ) রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং চর-মনসা এলাকায় কৃষক মজিবল ফরাজির ১ বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেন। এতে কৃষক মজিবল খুশি হয়ে জেলা ছাত্রলীগের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ইমাম হোসেন ও ফজলে রাব্বি বলেন, ‘কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এবং তারই নির্দেশে এই ধানকাটা কর্মসূচি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য কৃষকদের পাকা ধান কাটা এবং বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি পালন করেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগের সকল ইউনিটকে কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ভোলা জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক মোঃ হাসিব মাহমুদ হিমেলের নির্দেশনায় আজ গরিব কৃষকের এক বিঘা জমির ধান কেটে বাড়ীতে পৌছে দিই। যদি পরিস্থিতি এমনই থাকে তাহলে আগামীতেও আমরা এভাবেই কৃষকের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।’