ভোলায় বঙ্গবন্ধুর তোফায়েলের নামে জাদুঘর নির্মাণ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২১

 

মোঃ সোহেল, ভোলা প্রতিনিধি।

স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ভোলা সদর উপজেলার ১ নং রাজাপুর ইউনিয়নে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ও তার একান্ত সহচর ৬৯ এর মহানায়ক তোফায়েল আহাম্মেদের স্মৃতি জাদুঘর। শুধু স্বাধীনতা আন্দোলন নয় স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের ইতিহাসের ধারাবাহিক দুর্লভ সংরক্ষণ রয়েছে এই জাদুঘরটিতে। রাজাপুর ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর এই জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করেন।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের মহা নায়ক ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর নামে ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নে
প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর তোফায়েল সৃতি জাদুঘরটি প্রায় ১ বছর কার্যক্রম পরিচালনা করে তা ২০২১ মার্চ মাসে নির্মান কাজ শেষ হয়। কোভিড ১৯ এর কারণে জাদুঘর টি এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। করোনা স্বাভাবিক হলে, ভোলা ১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মেদ জাদুঘরটি উদ্বোধন করবেন। তবে প্রতি শুক্রবার জাদুঘরটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু ও তোফায়েল আহাম্মেদের সৃর্তি জরানো ছবি দিয়ে জাদুঘরটি সাজানো হয়েছে। যা ইতিমধ্যে ভোলায় ব্যাপক সারা ফেলেছে।

জাদুঘরটিতে রয়েছে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭ মার্চের ভাষণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের আত্মত্যাগের দুর্লভ সব আলোকচিত্র। জাদুঘরটিতে দর্শনার্থীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনের ইতিহাসের ধারাবাহিক দুর্লভ সংরক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারছে।

প্রতি শুক্রবার বহু পর্যটক জাদুঘরটি দেখতে ছুটে আসেন এখানে। গ্রামঅঞ্চলের তরুন প্রজন্ম যাদের কাছে মুক্তি যুদ্ধের কোন স্মৃতি নেই, এখান থেকে বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসের শিক্ষা নিতে পারবে তারা এমনটাই মনে করছেন সাধারণ পর্যটকরা।

তার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যেগ নেওয়ার কারন জানতে চাইলে, জাদুঘরটির প্রতিষ্ঠাতা মিজান খাঁন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার সহচর তোফায়েল আহাম্মেদ কে ভালোবেসে, তাদের দেশের প্রতি যেই ত্যাগ, ভালোবাসা ছিল, তা আমি বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য আমার এই ব্যাতিক্রমী উদ্যেগ।