ভোলায় প্রতিবন্ধী স্বামীর অগোচরে রিংকু নামের এক গৃহবধূর পরকীয়া।

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২

 

মিলি সিকদারঃ ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের চকডোষ ৮ নং ওয়ার্ডের মো: জালাল আহমেদের ছেলে মোখলেসের স্ত্রী রিংকু বেগমের দীর্ঘদিন ধরে জসিম নামক জৈনিক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। এরই জের ধরে তিনি তার স্বামী মোখলেস কে রেখে তার বাবার বাড়ি দীর্ঘদিন যাবত থাকছেন। রিংকুর স্বামী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় সে অনেক কিছু বুঝতো না। স্বামীর চোখের আড়ালে স্ত্রী রিংকু বেগম দিনের-পর-দিন পরকীয়া সম্পর্ক চালিয়ে যায়।বিবাহিত জীবনে তাদের দুইটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু পরকীয়ার জের ধরে বিবাহের পর থেকে তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ার কারণে রিঙ্কু বেগম স্বামী মুখলেসুর রহমান কে খুব তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যবহার করত। এমনকি রিঙ্কু বেগম পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হবার কারণে বেপর্দা চলাফেরা করত। অভিযোগ করে রিংকুর ছোট ছেলে নাঈম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আমার মা জসিম নামের এক ব্যক্তির সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হন। মা বাড়ি থেকে বলে বের হয়েছে আমার বড় ভাই অসুস্থ তাকে দেখতে যাবে কিন্তু তিনি তাঁকে না দেখতে গিয়ে জসিমের সাথে চট্টগ্রাম লামা ও ঢাকার মধ্য বাড্ডা বিভিন্ন জায়গায় একসাথে থাকতেন। মা জসিম কাকা কে আমাকে বাবা বলে ডাকতে বলেছেন কিন্তু আমি যখন মাকে জিজ্ঞেস করি যে আমারতো বাবা আছে এই কারণে মা আমাকে দুইদিন খেতে দেয়নি।আমার মাকে জসিম কাকা ল্যাপটপ ও অনেক গহনা কিনে দেন। নাঈম আরো জানান তার মা জ্বিনের ব্যবসা ও প্রতারণার ব্যবসা সাথে জড়িত তার এই ব্যবসায় সহযোগিতা করেন রিংকুর ভাই শাহিন ও তার মা। রিংকুর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্বামী মোখলেসুর রহমান কে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করত। এমনকি তার স্বামী বাক প্রতিবন্ধী হওয়ার সুবাদে তার নগদ ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।অভিযোগ করে খোরশেদ আলম বলেন, মোকলেস রহমান আমার আপন ছোট ভাই বাক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে আমি বিভিন্ন সময় তাকে আর্থিক সাহায্য করি। আমার ভাইয়ের স্ত্রী রিংকু বেগম আমি আমার ভাইকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করার কারণে তিনি আমাকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রিংকুর এক ভাসুরের মেয়ে জানান আমার এই চাচির অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ একই সাথে তিনি দুইজন পুরুষ এর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করার কারণে সাধারণ মানুষ আমাদেরকে খারাপ চোখে দেখেন। গণমাধ্যম কর্মীরা রিংকু বেগম এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।এমনকি বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায় নি।এলাকাবাসীর প্রশাসনের কাছে আকুল আবেদন পুরুষ নির্যাতন আইন দ্রুত প্রনোয়ন করা হোক।