বোরহানউদ্দিনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীর জমিতে ঘর উত্তোলন

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২১

 

মিলি সিকদারঃভোলায় আ,দালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসায়ীর ভোগ দখলীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করে যবর দখর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা ৭নং ওয়ার্ডের রফিজল হক হাওলাদরের ছেলে জাকির হাওলাদার পৌরসাভা ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ক্রয় সূত্রে ১০ শতাংশ জমির মালিক হয়। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাগেছে, তৎকালিন জমিটি ছিলে একটি পুকুরে ঘেরা। এমতাবস্থায় জাকির হাওলাদার প্রায় ২লাখ টাকা খরচ করে পুকুরটি বালু দ্বারা ভড়াট করে ঘর দরাজা উঠানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়। ওই মুহুর্তে এ জমিরি উপর লোলুপ দৃষ্টি পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু চক্রের মূল হোতা তাজল ইসলামের ছেলে সাজাহানের। সে বিগত দিনে অন্যায় ভাবে জাকির হাওলাদারকে তার ভোগ দখলীয় জমি হাতে সমুলে উৎখাত করার জন্য স্থানীয় পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের প্রভাবশালী কাউন্সিলর সোহাগের সাথে হাত মিলায় সাজাহান। এলাকা ঘুড়ে আরো জনাগেছে, সাজাহান কাউন্সিলর সোহাগকে উল্লেখিত জমিতে ঘর তৈরী করে একটি রুম ছেড়ে দিবে বলে চুক্তি বদ্ধ হয়ে। এ সুবাদে কাউন্সিলর সোহাগও উক্ত জমিটি সাজাহানকে দখল করে নেয়ার জন্য নেপথ্যে সহাযোগীতা করে। এমতাবস্থায় জাকির হাওলাদার কোন উপায়অন্ত না পেয়ে প্রশাসনের সহযোগীতার জন্য আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মহামান্য আদালত এ মামলাটি আমলে নিয়ে উক্ত জমির উপর নিষেধাজ্ঞার নোটিশ জাড়ি করে। যার অর্থ হয়েছে, আদালতের মামলার চুড়ান্ত রায় না হওয়া পর্যন্ত এ জমিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। জানাগেছে, আদালত থেকে এ নোটিশটি মামলার বিবাদী সাজাহানের কাছে পাঠানো হলে সে নেটিশটি গ্রহণ করেনি। কিন্তু গত ২৫/১০/২১ইং তারিখ দিবাগত মধ্য রাতে সাজাহান কাউন্সিলর সোহাগের সেল্টারে একদল লাঠিয়াল বাহিনী ভাড়া করে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জাকির হাওলাদারের জমিতে জোড় পূর্বক ঘর উত্তোলন করে। এসময় এ অন্যায় কাজে বাঁধা দিতে আসলে সাজাহান ও তার ক্যাডার বাহিনী জমির মালিক জাকির হাওলাদর ও তার স্ত্রী এবং বোনকে পিটিয়ে গুরতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করে। পরের দিন সকালে জাকির হাওলাদারের পরিবারের সকল সদস্যরা এসে তাদের কষ্টে গড়া জমিটিতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করার জন্য দখল নিয়ে বসবাস শুরু করে। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগী জাকির হাওলাদার ও তার পরিবার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত, সাজাহানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।