লকডাউনে কষ্টে দিন যাপন করছেন পত্রিকার

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২১

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি –
ভোলা বোরহানউদ্দিন চলছে কঠোর লকডাউন। ভোলা বোরহানউদ্দিন এর সকল দোকানপাট বন্ধ। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট খোলেনি। গত বৃহস্পতিবার থেকে মানুষের চলাচল ছিল সীমিত। তাই হকারদের পত্রিকা বিক্রির সংখ্যাও কমেছে।

ভোলা বোরহানউদ্দিন উপজেলার পত্রিকা বিক্রেতা মোঃ কামাল হোসেন বলেন -সবকিছু বন্ধ মানুষের চলাচল নাই, দোকানপাটও বন্ধ। তাহলে আমরা পত্রিকা বিক্রি করবো কার কাছে, পত্রিকা বিক্রি করতে না পারলে আমার আয়ও বন্ধ থাকে। আয় বন্ধ থাকলে পরিবার নিয়ে চলমু কি ভাবে, খাব কি? এই ভাবে আমাদের চলতে কস্ট হয়। করোনা কালীন আমাদের সংসার চলাতে হিমশিম খেতে হয়।

হকার কামাল করোনাকালীন সময় পত্রিকার হকারদের জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা চান!
প্রায় একই কথা জানিয়ে পত্রিকার হকার মোহাম্মদ কামাল হাওলাদার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন-

সরকারের ঘোষণা, লকডাউনের মধ্যে খোলা থাকবে সকল সংবাদপত্র গণমাধ্যম। সংবাদপত্র খোলা রেখে লাভ কি যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখে যারা পত্রিকা কিনে?লকডাউনে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সংবাদপত্র বিপণন কারীরা। কারন করোনাকালীন কারো কাছ থেকে কোন প্রকার আর্থিক সহযোগিতা পাইনি। তাই আমরা সরকারের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাইতেছি! এই ব্যাপারে ভোলা জেলা সংবাদপত্র হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন -করোনাকালীন সময় আমাদের জীবন যাপন খুব কষ্টে চলে – এক নম্বরের সরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ দুই নম্বারে স্কুল কলেজ বন্ধ
তিন নম্বারে দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় কোন লোক চলাচল করে না তাহলে আমরা পত্রিকা নিয়া কার কাছে যামু তিনি আরও বলেন – এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে (২৫০০) দুই হাজার পাঁচশত টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। আমরা ভোলা সদরের ইউএনওর কাছে ছবিসহ দরখাস্ত করেছিলাম। আদো কোন টাকা পাইনি। সরকার যদি আমাদের নিয়ে না ভাবে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো।