দৌলতখানে লাফিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যা

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২০, ২০২১

 

দৌলতখান প্রতিনিধি

তীব্র গরমে ভোলার দৌলতখানে বাড়তে শুরু করেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দৈনিক গড়ে ভর্তি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। শয্যা সংকট থাকায় হাসপাতালের মেঝেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে এসব রোগীদের। ৫০ শয্যার হাসপাতালে শয্যা ও বেডের অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে ছাড়াই অক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেত।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট রয়েছে দীর্ঘদিনের । এর মধ্যে প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ ডায়েরীয়া আক্রান্ত হওয়ায় রোগীর চাপে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকসহ নার্সরা। প্রয়োজনের তুলনায় বেড কম থাকায় মেঝে থেকেই চিকিৎসাসেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী ,গত দুইমাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭০০/৮০০জন রোগী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ তছির নামে এক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী জানান, ‘রাতে ইফতারের পর হঠাৎ করে ডায়রিয়া দেখা দেয়। পরে হাসপাতালে চলে এসেছি। বেড না পেয়ে মেঝে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছি। তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।, অন্যদিকে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু মাহমুদুল হাসান নামে ২ বছর বয়সী তার স্বজন জানান, ‘শিশুর ডায়রিয়া ও ভুমি দেখা দেয়ায় সরকারি হাসপতালে নিয়ে এসেছি। তবে হাসপতালের কর্তব্যরত সেবিকারা ভালো ভাবে সেবা দিচ্ছেন।,

সাধারণ রোগীসহ ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বাড়লেও তাদের সঠিক ভাবে সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার পিয়াস কান্তি সাহা।,

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, ‘নির্ধারিত শয্যার চেয়ে অতিরিক্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে । তবে সকল রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি । ঋতু পরিবর্তনের কারণে প্রকৃতিতে গরম হাওয়া বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে ডায়রীয়া থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ খাদ্য’র ওপর জোর দেয়া বলে জানান এ কর্মকর্তা।