ভোলায় মেঘনা নদীতে জেলে-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১ এবং আহত ও কারাবন্দী ১০ জেলেদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান গনঅধিকার পরিষদ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৮:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২২

মোঃ ইলিয়াস চৌধুরীঃ

“গণতন্ত্র ন্যায়বিচার অধিকার জাতীয় স্বার্থ” এই শ্লোগান নিয়ে গণঅধিকার পরিষদ এর সহযোগিতায়, ভোলা জেলা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের আয়োজনে-
আজ ২৫ এপ্রিল (সোমবার) ভোলায় গত ১০ই এপ্রিল (শনিবার) মেঘনা নদীতে জেলে-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত আমির রাঢ়ী(২৫) এবং আহত ও কারাবন্দী (১০) জেলে পরিবারকে তৃষ্ণা রেস্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে বিকাল ৪ঃ৩০ মিনিটে আর্থিক সহোযোগিতা প্রদান ও ইফতার মহাফিল আয়োজন করা হয়।

নিহত আমির রাঢ়ীর পরিবারের মাঝে ৫০,০০০ টাকা ও বাকি ১০ পরিবারের মাঝে জন প্রতি ৫,০০০ টাকা চেক বিতরন করা হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিবিদ, সহিদুল ফাহিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ন- আহ্বায়ক ও গণঅধিকার পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, মোঃ আরিফ হোসেন সাবেক সদস্য সচিব, শ্রমিক অধিকার পরিষদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব গণঅধিকার পরিষদ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, আসমাউল হূসনা হ্যাপি, সভাপতি, ভোলা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ, জয়নাল আবেদীন ফরাজী, প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ উপকূল প্রেসক্লাব(BUPC), শরিফুল ইসলাম বাবর সাংগঠনিক সম্পাদক ভোলা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ, আরিয়ান আরমান, ইমরান তাহের।

এসময় কেন্দ্রীয় নেতারা ভুক্তিভূগী জেলেদের সমবেদনা আর পাশে থাকার আশ্বাস দেন, পাশাপাশি স্থানীয় প্রসাশন বা কতৃপক্ষের প্রতি তিব্র নিন্দা জানায়।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১০ এপ্রিল) ভোলা-লক্ষ্মীপুর সীমান্তবর্তী মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে মাছ ধরার সময় নৌ-পুলিশ বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মো. আমির হোসেন রাঢ়ী (২৫) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহত আমির হোসেন ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী গ্রামের বাসিন্দা। এ সময় সংঘর্ষে ৪ নৌ পুলিশ ও ১০ জেলে আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাতে ভোলা ও লক্ষ্মীপুর মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতদের পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাত ১০টার পর তারা ভোলার রাজপুর ইউনিয়নের মনির চৌকিদার ১১জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুরের সীমানা মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে জাল ফেলে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় লক্ষ্মীপুর নৌ-পুলিশের একটি টিম জেলেদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে মনির মাঝির ট্রলারের মাঝি-মাল্লাদের সঙ্গে নৌপুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ট্রলারে থাকা আমির হোসেন গুলিবিদ্ধ হয় ও ট্রলারে থাকা বাকি জেলেরাও আহত হয়।


আহতদের মধ্যে সবুজ, মনির চৌকিদার, মোসলেহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর বেপারী, সায়েদুল ইসলাম, মোক্তার জমাদার, সবুজ মাঝি, জহিরুল ইসলাম ও মো. ইমরানসহ ১০ জেলে লক্ষ্মীপুর হাসপাতালে ভর্তি আছে। এদের সবার বাড়ি রাজাপুর ইউনিয়নে।

নিহত আমির হোসেনের প্রতিবেশী ইউসুফ জানান, গুলিবিদ্ধ আমিরকে রবিবার (১০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। পরে সাড়ে ৭টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মাথায় গুলি লেগেছে।

আমির হোসেন তাঁর ইউনিয়নের চর মোহাম্মদ আলী প্রামের মোতালেব রাঢ়ীর ছেলে। তার স্ত্রী ও ২ সন্তান রয়েছে এর মধ্যে এক সন্তান প্রতিবন্ধী।