ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালুর আহ্বান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টারঃ সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায় নিজস্ব ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাইকে ট্রাফিক রুলস মানতে হবে। প্রত্যেকটা স্কুল নিজ উদ্যোগে বিশেষ ট্রাফিকের ব্যবস্থা নেবে। ট্রাফিক পুলিশ থাকবে তাদের সহযোগিতা করতে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশ দিতে পারে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা উদ্যোগটি নেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেই নির্দেশটা দেবেন।’

উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলো হলো— ঢাকা এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহিদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস; সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক ৪ মহাসড়ক; বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগসড়ক; রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর চেংগী নদীর উপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর উদ্বোধন।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই ২০১৯ এয়ারপোর্ট মহাসড়কে শহিদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিকট মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যায় শিক্ষার্থী আব্দুল করিম রাজিব ও দিয়া খানম মিম নিহত হন।

প্রধানমন্ত্রী রাজিব ও মিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। দুর্ঘটনার পর নিরাপদ পথচারী পারাপারের জন্য ওই স্থানে একটি আন্ডারপাস নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যা আজ উদ্বোধন করা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আন্ডারপাসটি বিশাল ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ করেন তিনি।

বালুখালী (কক্সবাজার)-ঘুনধুম (বান্দরবান) সীমান্ত সংযোগ সড়কটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। এই এলাকার উন্নয়নটা আমাদের একান্তভাবে অপরিহার্য। তার ওপর পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে প্রায় দুই দশক একটি অশান্ত পরিবেশ ছিল। আমি সরকার গঠন করার পর ১৯৯৬ সালে এখানে শান্তি চুক্তি করি। সেই শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি, সেটি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সড়কের মাধ্যমে একটি যোগাযোগের ব্যবস্থা নিচ্ছি। যেমন এশিয়ান হাইওয়ে এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গেও বাংলাদেশকে আমরা সংযুক্ত করতে চাচ্ছি। আমি মনে করি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা আমরা যে কাজ করে যাচ্ছি, এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজারের বালুখালী হতে বান্দরবানের ঘুনধুম সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। এ সড়কটি এশিয়ান হাইওয়ের একটি অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত বিধায় আন্তর্জাতিক এ সড়কটি অন্যান্য সড়ক ও মহাসড়ক থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।’

সেপ্টেম্বর ২০১৭ পরবর্তী সময়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর সড়কটির সীমান্তের কাছাকাছি অংশের কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়। তবে আমরা সেই কাজ শুরু করে পরে নির্ধারিত সময়েই মধ্যেই কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে বলে অবহিত করেন। সড়কটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন করবে বলে আশাবাদ করবে এবং ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে করেন তিনি।

একইসঙ্গে সড়কটি সীমান্ত সড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

আমরা পুরো সীমান্তে সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছি এবং সেই কাজ চলমান আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশটাকে আমরা সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে চাই। এখানে আগে বিওপি খুব বেশি ছিল না। আমরা নতুনভাবে বিওপি’ও স্থাপন করেছি। কাজেই সীমান্ত সড়ক হয়ে গেলে আমাদের সীমান্ত রক্ষায় আরও সহজ হবে।’

রাঙামাটি জেলার নানিয়ারচরে চেংগী নদীর ওপর ৫০০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘রাঙ্গামাটি কাপ্তাই হ্রদবেষ্টিত একটি জেলা। বর্ষাকালে যখন কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর বৃদ্ধি পায়, তখন অতিমাত্রার ঢেউয়ের কারণে তখন এই অঞ্চলের লোকের চলাচল খুব কষ্টকর হয়ে যায়। কাজেই জেলা সদরে সঙ্গে প্রত্যেকটা উপজেলার সঙ্গে ইউনিয়নের সঙ্গে সংযোগ থাকে সেই পরিকল্পনা নিয়ে সমস্ত বাংলাদেশে আমরা সড়ক নেটওয়ার্ক যোগাযোগ ব্যবস্থা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের সর্ববৃহৎ ৫০০ মিটার দীর্ঘ নানিয়ারচর সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি জেলা সদরের সঙ্গে নানিয়ারচর উপজেলার নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ভবিষ্যতে লংগদু উপজেলা হয়ে মারিষ্যা পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করবে।’

এ সেতু নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের পথেও আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে এরইমধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। রিভার্স স্ট্রাটেজিক প্ল্যানের আওতায় ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, কম্যুটার রেলওয়ে, ভূগর্ভস্থ টানেল, ঢাকা শহরের চারদিকে রিং রোড, সার্কুলার রেল লাইন এবং ওয়াটারওয়ে নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে রাজধানীবাসী নিরাপদে ও দ্রুততম সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন এবং কাজের জন্য রাজধানীতেই থাকবে হবে তা না। ঢাকার বাইরে থেকেও ঢাকায় এসে আবার কাজ করে নিজ জায়গায় ফেরত যেতে পারবে।’

শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ ও জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে ১৩টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। আন্ডারপাসের স্থানীয় সুবিধা বিবেচনা করে সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২’ এর আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে ৩৯টি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি ‘আমাদের সরকার এরইমধ্যে ৬৩২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক ৪-লেন বা তদূর্ধ্ব লেনে উন্নীত করেছে। এছাড়া ৬৪৭ কিলোমিটার মহাসড়ককে উভয়পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪-লেনে উন্নীতকরণ এবং ৭৯ কিলোমিটার মহাসড়ককে সার্ভিস লেন ব্যতীত ৪-লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। মহাসড়কসমূহ ডিভাইডারসহ ৪ বা তদূর্ধ লেনে উন্নীত করার ফলে সড়ক দুর্ঘটনা বিশেষত সড়ক ও মহাসড়কে মুখোমুখি দুর্ঘটনার হার বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার ২০০৯ থেকে বর্তমান মেয়াদে ১ হাজার ৪০১টি সেতু ও ৬ হাজার ৩৬০টি কালভার্ট নির্মাণ/পুননির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৭ হাজার মিটার দৈর্ঘ্যরে ১৫টি রেলওয়ে ওভারপাস, ১৪ হাজার ৮৩ মিটার দৈর্ঘ্যরে ১৫টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ১৫ হাজার ১৪২ মিটার রেলওয়ে ওভারপাস এবং ৭ হাজার ৩১২ মিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ চলমান এবং পরিকল্পনাধীন রয়েছে।’

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশে ২০১০ হতে ২০১২ সালে জাতীয় মহাসড়কে ২০৯টি ব্ল্যাকস্পট বা দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে ব্ল্যাকস্পটগুলোতে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীকালে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে আরও ২৫২টি ব্ল্যাকস্পট চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ১৭২টি ব্ল্যাকস্পটের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৮০টি ব্ল্যাক স্পট উন্নয়ন করা হবে। এর ফলে ওই সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে বলে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমাদের পথচারীদের আমাদের দেশে একটা প্রবণতা আছে, কোনো একটা অ্যাক্সিডেন্ট হলেই সবার আগে গাড়ি ড্রাইভারকে ধরে পেটানো হয়। এমনকি অনেক সময় গণপিটুনি দিয়ে তাকে মেরেই ফেলা হয়, হত্যাই করা হয়। যখন একটা দুর্ঘটনা ঘটে আমার এটা অনুরোধ থাকবে সকলের কাছে, সেই দুর্ঘটনা কেন ঘটল?’

কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল এবং কার দোষে ঘটল; সেটি বিবেচ্য বিষয়, সেটি খুঁজে দেখার দরকার বলে জানান তিনি।

পথচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ট্রাফিক রুলস সম্পর্কে সবার জ্ঞান থাকা দরকার এবং সেটা মেনে চলা দরকার। ট্রাফিক রুলস সকলে মেনে চলবেন। মোবাইল ফোন কানে নিয়ে কথা বলতে বলতে সড়ক দিয়ে চলা বা রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটা বা রেললাইন পার হওয়া বা সড়ক পার হওয়া, এটি কখনোই কেউ করবেন না। এটা বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় কথা হলো, যেখান-সেখান দিয়ে হঠাৎ করে দৌড় দিয়ে রাস্তা পার হবেন না। রাস্তা পার হতে গেলেই কিন্তু দুর্ঘটনাটা ঘটে। কাজেই এ ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

গাড়ির চালকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি যে দীর্ঘ সময় চালকরা গাড়ি চালালে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়ে, অনেক সময় ঝিমিয়ে পড়ে সেটা হয়। সেজন্য আমরা এখন থেকে হাইওয়েগুলোর পাশে চালকদের জন্য বা যারা যাত্রী তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা নিচ্ছি। সেখানে কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এরইমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি।’

চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষেরা নিজেরা গাড়ি কমই চালায়। কিন্তু আমাদের ড্রাইভারদের স্বল্পতা রয়েছে। সে কারণে আমরা সমস্ত উপজেলায় ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।’

ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘রাস্তায় চলাচল করার সময় অবশ্যেই ট্রাফিক রুলস মানতে হবে। আমাদের তরফ থেকে প্রত্যেকেটা স্কুল কলেজে ট্রাফিস রুলস সম্পর্কে একেবার ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দেওয়া উচিত। এটা প্রত্যেক স্কুল-কলেজ ব্যবস্থা নিতে হবে, কলেজ-ইউনিভার্সিটিতেও ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উদ্বোধনকৃত প্রকল্পেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সফল বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনী এবং সেনা বাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারোল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।