ভোলায় ফের বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, সংক্রমনরোধে প্রস্তুত স্বাস্থ্যবিভাগ

ভোলার কথা
ভোলার কথা সম্পাদক
প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২১

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ হাছনাইন আহমেদ

ভোলায় আবারো বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন গড়ে ৫-১০ জন করে রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো ৫৮টি। আক্রান্তরা সবাই সদর উপজেলার বাসিন্দা।
জেলায় সর্বমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৭২ জন। যাদের মধ্যে মারা গেছে ১০ জন। জেলায় মোট সুস্থ্য হয়েছে ৯৯৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে এবং কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় সর্বমোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৫৪টি।
এদিকে করোনা সংক্রমরোধে প্রস্তুত রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতমধ্যে করোনা ইউনিটে ৭ জন ডাক্তার ও ১০ জন নার্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সদরে ১০০টি শয্যাসহ সাত উপজেলায় আরো ৩০টি বেড প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষধু ও অকসিজেন সরবরাহ রয়েছে।

— —

সোমবার (২৯ মার্চ) জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সুত্র জানায়, গত এক বছরে জেলার সাত উপজেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৭২জন। এরমধ্যে সদরে উপজেলায় আক্রান্ত ৬৬১ জন। যাদের মধ্যে সুস্থ্য ৬০৮জন। দৌলতখান উপজেলায় আক্রান্ত ৫৮জন এবং সুস্থ্য ৫৬জন, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় আক্রান্ত ১১৬ জন এবং সুস্থ্য ১১৩ জন, লালমোহন উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত ৮৬জন যাদের মধ্যে সুস্থ্য ৭৩জন, চরফ্যাশন উপজেলায় আক্রান্ত ৭০জন যাদের মধ্যে সুস্থ্য ৬৬জন, তজুমদ্দিন উপজেলায় আকান্ত ৪৮ জনের মধ্যে ৪৮ জন এবং মনপুরা উপজেলায় ৩২ জনের মধ্যে ৩২ জন সুস্থ্য আছে।
এছাড়া সদর, লালমোহন, চরফ্যাশন ও দৌলতখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১০জন। গত এক বছরে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রগ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৫৪জন এবং কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৬৬২ জনকে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আরো জানা গেছে, গত এক মাসে জেলায় ৫৭ হাজার জন করোনা টিকার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করলেও টিকা গ্রহন করেছেন ৪২ হাজার ২ জন। এছাড়া জেলা থেকে ফেরত গেছে প্রায় ১৬ হাজার ডোস টিকা।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা: সৈয়দ রেজাউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, করোনা সংক্রমরোধে কাজ করছে স্বাস্থ্যবিভাগ। আমাদের করোনা ইউনিট, ডাক্তার, নার্স, ওষুধ ও অকসিজেন প্রস্তুত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিভাাগের পক্ষ থেকেও প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি জনগনকেও সচেতন হতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আগামী মাস থেকে করোনার ২য় ডোস টিকা কর্মসূচী শুরু হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।